জন সমর্থন ফেরাতে পথে বাম সংগঠন

জনবিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাম নেতৃত্ব। মঙ্গলবার প্রায় একই সময়ে বামেদের দুই শরিক দলের দুই সংগঠনের উদ্যোগে জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে দুই পৃথক কর্মসূচি হল। একদিকে খেতমজুরদের নিয়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করল সিপিআইয়ের সংগঠন। অন্য দিকে, অসামাজিক কাজকর্ম রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিতে শহরে মিছিল করল সিপিএমের যুব সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৪ ০০:৪৬
Share:

ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের মিছিল

জনবিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাম নেতৃত্ব। মঙ্গলবার প্রায় একই সময়ে বামেদের দুই শরিক দলের দুই সংগঠনের উদ্যোগে জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে দুই পৃথক কর্মসূচি হল। একদিকে খেতমজুরদের নিয়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করল সিপিআইয়ের সংগঠন। অন্য দিকে, অসামাজিক কাজকর্ম রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিতে শহরে মিছিল করল সিপিএমের যুব সংগঠন। জেলা পুলিশের সদর দফতরে স্মারকলিপিও দিয়েছে তারা।

Advertisement

জেলায় এখন বিজেপির শক্তি বাড়ছে। বিজেপির বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন বাম নেতৃত্বও। এই পরিস্থিতিতে বাম গণসংগঠনের পথে নামা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ দিন দুপুরে সিপিআইয়ের সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য খেতমজুর ইউনিয়ন’- এর ডাকে শহরের বিদ্যাসাগর হল থেকে মিছিল শুরু হয়। নেতৃত্বে ছিলেন সন্তোষ রাণা, প্রভাস পাত্র, তপন গঙ্গোপাধ্যায়। মিছিল পৌঁছয় কালেক্টরেট মোড়ে, জেলাশাসকের দফতরের সামনে। সেখানে হয় বিক্ষোভ। প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষবাবু বলেন, “আমরা জেনেছি, একশো দিনের কাজ রাজ্যের ৩৪১টি ব্লকের মধ্যে মাত্র ১২৪টি ব্লকে চলবে। অন্যত্র গরিব মানুষ দুর্দশায় পড়বেন। তাই সব ব্লকে প্রকল্প সচল রাখার দাবি জানিয়েছি।” খেতমজুর-সহ সকল গরিব মানুষকে বিপিএল তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, সমস্ত গরিব পরিবারকে প্রতি মাসে ২ টাকা কেজি দরে ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য সরবরাহ করা-সহ আরও কিছু দাবি জানানো হয়েছে। দুপুরেই শহরে মিছিল করে ডিওয়াইএফ। কেরানিতলা থেকে শুরু হয়ে মিছিল পৌঁছয় জেলা পুলিশের সদর দফতরের সামনে। নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক দিলীপ সাউ। দিলীপবাবু বলেন, “অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে। নেশার ঠেক চলছে। সার্বিক ভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। অথচ, পুলিশ উদাসীন।” তাঁর অসন্তোষ, পুলিশকে জানিয়ে এলেও পুলিশ সুপার দফতরে ছিলেন না। গোড়ায় কেউ ডেপুটেশন নিতেও রাজি হচ্ছিলেন না। জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ অবশ্য বলেন, “কর্মসূচির কথা আগে থেকে জানানো হয়নি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement