সন্ধেয় মেদিনীপুরে পৌঁছলেন মমতা।—নিজস্ব চিত্র।
আজ, সোমবার ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল উৎসবের সূচনা হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদ কুমারী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের যুগ্ম আয়োজক হল পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দফতর ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। কিন্তু উৎসবের উদ্বোধন কোথা থেকে হবে তা নিয়ে খোদ আয়োজকেরাই সন্দিহান। কারণ উদ্বোধক হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দফতরের আমন্ত্রণপত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুরে মেদিনীপুর কলেজ মাঠ থেকে জঙ্গলমহল উৎসবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছে যাওয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। প্রশাসনের একটি মহলের ধারণা, সোমবার সম্ভবত ঝাড়গ্রামে গিয়েও উৎসবের সূচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, প্রথমে ২৬-২৮ ডিসেম্বর জঙ্গলমহল উৎসব হওয়ার কথা ছিল। ২৬ ডিসেম্বর উৎসবের উদ্বোধক হিসেবে হাজির থাকার কথা ছিল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। সেই মত আমন্ত্রণপত্রও ছাপানো হয়ে গিয়েছিল। সরকারি সূত্রের খবর, তাঁকে উদ্বোধক হিসেবে না রাখায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় উৎসব পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরিবর্তিত সূচিতে ২৯-৩১ ডিসেম্বর ওই উৎসব হচ্ছে। স্থির হয়, মেদিনীপুর কলেজ মাঠে পুলিশের একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামে না গিয়ে মেদিনীপুর থেকে উৎসবের উদ্বোধন করবেন জেনে বিস্মিত হচ্ছেন অনেকেই। প্রশাসনের একটি সূত্রের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম আবেগের জায়গা হল জঙ্গলমহল। তাই মুখ্যমন্ত্রী হয়তো ঝাড়গ্রামের উৎসব প্রাঙ্গণে হাজির হতে পারেন, এমন সম্ভাবনায় নিরাপত্তার সব রকম আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে পুলিশ-প্রশাসন। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির অতিথিশালায় মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের ভিআইপি স্যুইটটিও তৈরি রাখা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা রবিবার রাতে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সোমবার মেদিনীপুর থেকে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে নির্ধারিত রয়েছে। নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।” প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, সময় উদ্বোধনসূচি পরিবর্তিত হতে পারে। কারণ, এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
উৎসবে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া এই তিন জেলার ২৪টি ব্লকের লোক শিল্পীরা উৎসবে যোগ দেবেন।