খাদান থেকে ছাই তোলার কাজ প্রায় দু’মাস ধরে বন্ধ থাকায় কাজ মিলছে না, এমনই অভিযোগ জানিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই খাদানের কর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কয়েক’শো সমর্থক। অবরোধের জেরে সড়কে লরি, বাস, ট্যাক্সি-সহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ে। কলকাতা থেকে হলদিয়ায় ফেরার পথে ওই অবরোধেই আটকে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। পরে কোলাঘাটের তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা সেখানে গিয়ে অবরোধকারীদের দাবির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলে তবে অবরোধ ওঠে।
এ দিন শ্রমিকদের অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়া তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা হাফিজুর রহমানের অভিযোগ, “কাজ বন্ধ থাকার জেরে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিকের রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা এ নিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও সুরাহা মিলছে না।” তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরীরও অভিযোগ, “তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের খাদানের ছাই তোলার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ার ফলে কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে কাজে যুক্ত লরি চালক, খালাসি ও শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক আড়াই মাস ধরে কাজ পাচ্ছেন না।”
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত বর্জ্য ছাই ফেলার জন্য সংলগ্ন এলাকায় ৬ টি ছাইপুকুর (খাদান) রয়েছে। ওইসব ছাই খাদান থেকে ছাই তুলে অন্যত্র সরানোর জন্য বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে একটি ছাইখাদানে ছাই ভর্তি রয়েছে।
কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার তাপস পাত্র বলেন, “অধিকাংশ খাদানে ছাই ভরাট না থাকায় ছাই তোলার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একটি ছাই খাদান ভরাট রয়েছে। ওই ছাই তোলার জন্য ঠিকাদার নিয়োগের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।”