কারখানায় গ্যাস লিক করে মৃত্যু শ্রমিকের

একটি পিগ আয়রন কারখানা থেকে নির্গত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও তিন জন। শনিবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুরের সাদাতপুর থানার কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রশ্মি মেটালিক্সের কারখানায়। মৃত শ্রমিক শ্রীনিবাস সিংহের (২৮) বাড়ি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির মাঝকাদুন গ্রামে। অসুস্থ অবস্থায় কে জগদীশকুমার রাও, মানস পণ্ডা ও প্রমোদ মোহান্তিকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে চিকিৎসার পরে তিন জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৪ ০১:১৫
Share:

একটি পিগ আয়রন কারখানা থেকে নির্গত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও তিন জন। শনিবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুরের সাদাতপুর থানার কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রশ্মি মেটালিক্সের কারখানায়। মৃত শ্রমিক শ্রীনিবাস সিংহের (২৮) বাড়ি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির মাঝকাদুন গ্রামে। অসুস্থ অবস্থায় কে জগদীশকুমার রাও, মানস পণ্ডা ও প্রমোদ মোহান্তিকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে চিকিৎসার পরে তিন জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কী গ্যাস থেকে দুর্ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট নয়। ওই কারখানার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (ওয়ার্কস) সুরেন্দ্রনাথ ঝাঁ বলেন, “ঠিক কী গ্যাস থেকে শ্রমিকেরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি নেই। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।”

Advertisement

ঝাড়গ্রামের পাটোয়ারি পরিবার ‘রশ্মি গোষ্ঠী’ সাহাচকের কাছে ৬নম্বর জাতীয় সড়কে ধারে এই পিগ্ আয়রনের কারাখানাটি তৈরি করেছিল। এই কারখানায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর নজির রয়েছে। বছর তিনেক আগে এলাকারই মথুরাকিসমতের কাছে আরও একটি সম্প্রসারিত প্রকল্প চালু করে রশ্মি। সেটি মূলত স্পঞ্জ আয়রন কারখানা ও ১২ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্রকল্প। গত বছর অক্টোবরে সেখানে স্টোরেজ বাঙ্কার চাপা পড়ে এক ডাম্পার চালকের মৃত্যু হয়েছিল, জখম হয়েছিলেন তিন শ্রমিক। এর ঠিক দু’দিন পরেই পিগ আয়রন কারখানায় ‘স্ল্যাগ চেম্বারে’র গরম জলে পড়ে জখম হন এক ঠিকাশ্রমিক। ফের এই কারখানায় শ্রমিকের মত্যুতে তাই নিরাপত্তা নিয়েই অভিযোগ তুলেছেন শ্রমিকেরা। আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কারখানার শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি দেবাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, “কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এর আগেও এই প্রকল্পে একসঙ্গে বহু শ্রমিকের মৃত্যুতে আমরা তদন্তের দাবি তুলেছিলাম। তারপরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।”

কারখানা সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে রশ্মির পিগ আয়রন কারখানায় ‘প্লেট-২’ শেডে কাজ করছিলেন শ্রীনিবাস-সহ কয়েকজন শ্রমিক। ওই শেডে মূলত আয়রন প্লেট তৈরির হয়। সেখানে লোহা গলানো এবং ওয়েল্ডিংয়ের জন্য বহু ‘বার্নার’ রয়েছে। ওই বার্নারের জন্য নীচে রয়েছে গ্যাস চেম্বার। ভোর রাতের দিকে কোনও ভাবে ওই গ্যাস লিক করেই চারজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। শনিবার দুপুরে পুলিশকর্মীরা ওই শেডে গিয়ে ঝাঁঝালো গন্ধ পেয়েছেন। পরে অবশ্য কারখানার এক ম্যানেজার অসুস্থ চার শ্রমিককে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যান। পথেই শ্রীনিবাসের মৃত্যু হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement