একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নতুন নিয়ম চালু নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির ব্লক সংসদ সভায় শুভেন্দুবাবু জানান, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রাজ্যের ৩৪১টি ব্লকের মধ্যে মাত্র ১১৭টি ব্লক নতুন নিয়মের আওতায় আসবে। বাকি ব্লকগুলি বঞ্চিত হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫টি ব্লকের মধ্যে এগরা ১, ২, পটাশপুর ১, ২ ও ময়না ব্লক নতুন নিয়মের মধ্যে পড়বে। শুভেন্দুর ক্ষোভ, “তাতে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়নের কাজ ব্যহত হবে।” তিনি জানান, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার চিঠি দিয়েছে।
নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাগৃহে আয়োজিত ব্লক সংসদ সভায় তিনি আরও বলেন, “একশো দিনের কাজে সামান্য কিছু অনিয়ম হলেও কমপক্ষে ৮০ শতাংশ কাজ হচ্ছে। তাতে গ্রামীণ উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। কিন্তু যে ভাবে এই প্রকল্প সঙ্কুচিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতে পঞ্চায়েতের কাজের ক্ষেত্রে কঠিন সমস্যায় পড়তে হবে।”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত জেলায় গড়ে ২৪ দিন কাজ হয়েছে। এর মধ্যে হলদিয়া ব্লকে সর্বাধিক গড়ে ৪০ দিন কাজ হয়েছে। আর ভগবানপুর ২ ব্লকে গড়ে ১০ দিন করে কাজ পেয়েছে শ্রমিকেরা। এই প্রকল্পে চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি ও সামগ্রী কেনার জন্য জেলায় ১৭০ কোটি টাকা মেটানো হলেও আরও ১১৫ কোটি টাকার কাজের পাওনা বকেয়া রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, জেলার ২৫টি ব্লকের মধ্যে পিছিয়ে পড়া ব্লক হিসেবে ৫টি ব্লক চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সব ব্লকে প্রকল্পের কাজে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তবে বাকি ২০টি ব্লকেও স্বাভাবিক নিয়মে প্রকল্পের কাজ চলবে। তবে এই পিছিয়ে পড়া ব্লক চিহ্নিত করায় রাজ্য সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এ দিন শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে বলেন, “আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে মহাকরণে যেতে হত। এখন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জেলায় এসে বৈঠক করছেন। এতে উন্নয়নে গতি এসেছে।”