বুড়াল পঞ্চায়েত

একশো দিনের কাজে পক্ষপাতের অভিযোগ, কংগ্রেসের বিক্ষোভ

ইন্দিরা আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ সভা করল কংগ্রেস। সোমবার সবং ব্লকের বুড়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্বে দেন জেলা কংগ্রস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, বুড়াল পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা ব্লক কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ বেরা, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা অঞ্চল সভাপতি তপন হাজরা প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪৪
Share:

ইন্দিরা আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ সভা করল কংগ্রেস। সোমবার সবং ব্লকের বুড়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্বে দেন জেলা কংগ্রস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, বুড়াল পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা ব্লক কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ বেরা, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা অঞ্চল সভাপতি তপন হাজরা প্রমুখ। কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের সদস্যদের মতামতকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। পক্ষপাতিত্ব চলছে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজেও।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সবংয়ের পঞ্চায়েত সমিতিতে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। সবংয়ের বুড়াল পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দখলে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৬টি আসন পায়। সিপিএম পাঁচটি আসন ও তৃণমূল চারটি আসন দখল করে। পরে সিপিএম থেকে কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেয়। ফলে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের ছ’জন পঞ্চায়েত সদস্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর কাটার কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের লোকেদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে, ইন্দিরা আবাসেও প্রাপকদের নাম আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও বুড়াল পঞ্চায়েতের প্রধান সৈয়দ রফিক আলি বলেন, “ইন্দিরা আবাস প্রকল্পের কাজ দেখে পঞ্চায়েত সমিতি। আর একশো দিনের প্রকল্পে পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্যদের এলাকাগুলিতেই বেশি কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত বছর ধরে শুধু রাজনীতি করে আসা কংগ্রেস তা দেখতে না পেয়ে মিথ্যে অভিযোগ করছে।”

জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে সিপিএম থেকে বহু লোক বিজেপিতে যাচ্ছে। আর এখানে সিপিএম তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে। তাছাড়া তৃণমূলনেত্রী দিল্লিতে গিয়ে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করলেও সবংয়ে তৃণমূল পক্ষপাতিত্ব করছে। বুড়ালে একশো দিনের কাজ থেকে ইন্দিরা আবাসে কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যদের এলাকাগুলি বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমরা বিক্ষোভ সভা করেছি।” অবশ্য এসব অভিযোগ উড়িয়ে সবংয়ের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, “সবংয়ের নারায়ণবাড় পঞ্চায়েতে সিপিএম-কংগ্রেস জোট বেঁধে বোর্ড গঠন করেছে। তাই কংগ্রেসের মুখে সিপিএম-তৃণমূল আঁতাতের কথা শোভা পায় না।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement