আমানতকারীদের টাকা ফেরত, অর্থলগ্নি সংস্থার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া-সহ বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করতে চলেছেন বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট ও আমানতকারীরা। আগামী ১০ নভেম্বর মেদিনীপুরে মিছিল-বিক্ষোভেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।
ওই দিন জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এক কনভেনশনে এই সিদ্ধান্ত হয়। ‘অল বেঙ্গল সার্ভিস প্রোভাইডার এণ্ড সেভিংস্ হোল্ডার অ্যাসোসিয়েশন’ নামে এক সংগঠনের উদ্যোগে এ দিন দুপুরে মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে এই কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন অসীম চট্টোপাধ্যায়, সমীর পুততুণ্ডু, অনুরাধা দেব প্রমুখ।
সারদা কাণ্ডের ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্যজুড়েই শোরগোল পড়ে। এই সংস্থায় অর্থ লগ্নি করে প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্তও হন। পরে জেলায় জেলায় সংগঠন গড়ে তোলেন বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট এবং আমানতকারীরা। সারদা কাণ্ড সামনে আসার পর পরিস্থিতি দেখে কমিশন গঠন করে রাজ্য সরকার। কমিশনের চেয়ারম্যান হন বিচারপতি শ্যামল সেন। পরবর্তী সময় একটি তহবিল তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি জানান, সারদায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফিরিয়ে দিতে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করবে সরকার। সেই মতো তহবিল তৈরিও হয়।
ঘোষণা মতো সারদা কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি করে অর্থ দফতর। এই পরিস্থিতিতে সারদা ভিন্ন অন্য অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট এবং আমানতকারীরা জোটবদ্ধ হতে শুরু করেন। অন্য জেলার মতো পশ্চিম মেদিনীপুরেও তাঁরা সংগঠন গড়েন। সংগঠনের নেতৃত্বের বক্তব্য, ইতিমধ্যে অনেকে আত্মহত্যা করেছেন। হাজার হাজার এজেন্ট- আমানতকারী সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। শুধু সারদা নয়, রাজ্য সরকার অনান্য সংস্থার আমানতকারীদেরও টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। পাশাপাশি, এজেন্টদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করুক। কনভেনশন শেষে অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি সৌমেন সামন্ত বলেন, “আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। কিছু সিদ্ধান্তও হয়েছে। ১০ নভেম্বর মেদিনীপুরে আমরা মিছিল করব। বিক্ষোভও হবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু দাবিতে জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হবে।”