কোপের মুখে পড়লেন সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা অফিস সম্পাদক। অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃৃত নেতার নাম মৃণাল দত্ত। ঘটনায় দলের অন্দরে শোরগোল পড়েছে।
মৃণালবাবু সিপিএমের জেলা কেন্দ্রের শাখা সম্পাদক ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেই তাঁকে শো-কজ করা হয়েছিল। ওই নেতা অবশ্য শো-কজের সদুত্তর দেননি। পরিস্থিতি দেখে তাঁকে দল থেকেই বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা সিপিএমের সর্বোচ্চস্তরে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা কেন্দ্রের শাখা সম্পাদক থাকার ফলে সিপিএমের অনেক নেতার সঙ্গেই তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। তালিকায় নাম রয়েছে সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকারেরও। জেলা কেন্দ্রের অন্দরে তাঁর অবাধ বিচরণও ছিল।
অনিয়মের অভিযোগে মৃণালবাবু শাস্তির কোপে পড়ায় দলের অন্দরে নানা জল্পনাও তৈরি হয়েছে।
কেন এই বহিষ্কার?
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপকবাবু বলেন, “কিছু অনিয়ম- বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” আগে কি তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল বা বহিষ্কারের আগে শো-কজ করা হয়েছিল? দীপকবাবুর জবাব, “শোকজ করা হয়েছিল কি না, করলে কবে করা হয়েছিল, এ সব কী সংবাদমাধ্যমের কাছে বলতে হবে!”
জেলা সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, দলের নীতি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রবণতাকে কখনওই প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। দেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না! এ ক্ষেত্রেও অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হয়েছে। ওই নেতা শো-কজের সদুত্তর না দেওয়ায় দল কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিপিএমের এক জেলা নেতার কথায়, “জেলায় প্রায় ১৭ বছর ধরে ত্রুটি সংশোধন অভিযান চলছে। অথচ, আলোচিত ত্রুটিগুলো থেকেই যাচ্ছে। ফলে, জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। এটাই কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ভাল সময়!”
দিনভর মৃণালবাবুর মোবাইল বন্ধ ছিল। ফলে, বহিষ্কার নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।