অতিথি শিক্ষক নিগ্রহের প্রতিবাদে টিএমসিপির মিছিল

অতিথি শিক্ষককে নিগ্রহের ঘটনায় মৌন মিছিল করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। মঙ্গলবার সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের সামনে টিএমসিপি-র ওই মিছিলের শেষে কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। গত সোমবার সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিষয়ের পরীক্ষায় ময়না কলেজের এক ছাত্রকে নকল করতে বাধা দেন কলেজের এক অতিথি শিক্ষক গোপাল জানা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৪ ০০:৪০
Share:

অতিথি শিক্ষককে নিগ্রহের ঘটনায় মৌন মিছিল করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। মঙ্গলবার সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের সামনে টিএমসিপি-র ওই মিছিলের শেষে কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। গত সোমবার সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিষয়ের পরীক্ষায় ময়না কলেজের এক ছাত্রকে নকল করতে বাধা দেন কলেজের এক অতিথি শিক্ষক গোপাল জানা। এর পরেই ছাত্র পরিষদ পরিচালিত কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নন্দন মান্নার নেতৃত্বে অনুপম বেরা, কার্তিক বেরা-সহ ৪ জন ওই অতিথি শিক্ষককে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

কলেজের অতিথি শিক্ষককে নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের অন্য শিক্ষকেরাও সরব হন। কলেজের শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, কলেজের এই সংস্কৃতি দীর্ঘদিনের। ছাত্র সংসদ বহুবছর ধরেই ছাত্র পরিষদের দখলে থাকায় তাঁদের দাপাদাপি চলছেই। ইদানীং কলেজের শিক্ষকদের উপরও চোখ রাঙানি শুরু হয়েছে। তবে সোমবারের এই ঘটনা সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এ দিন মৌন মিছিলে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রমাপদ গিরি। এছাড়াও ছিলেন টিএমসিপি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কর, কলেজের ইউনিট সভাপতি শেখ সানোয়ার। মিছিলের পর তাঁরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন। রমাপদ গিরি বলেন, “আমরা শিক্ষক নিগ্রহের এই ঘটনার ধিক্কার জানাচ্ছি। আইনের পথে পুলিশ চলবে। তবে কলেজকেও দোষী ছাত্রদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে”

কলেজে এ দিন যান সবং থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু হোতা-সহ পুলিশ আধিকারিকেরা। তাঁরা কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই কলেজের শিক্ষক ও ছাত্ররা অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ঘটনায় অভিযুক্ত অনুপম বেরা, নন্দন মান্নাকে ডাকা হয়। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, অধ্যক্ষের কাছে তাঁরা কার্যত ঘটনার কথা স্বীকার করে ভবিষ্যতে কলেজে যাতে এই ঘটনা না ঘটে এই মর্মে একটি লিখিত বিবৃতি দেওয়ার কথাও জানিয়েছে। ছাত্র পরিষদের সদস্যরা লিখিত বিবৃতি দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে। এ দিন কলেজের অধ্যক্ষ কানাই পড়িয়া বলেন, “আমি ঘটনার কথা বিস্তারিত জেনেছি। ঘটনাটি সত্যি। এ দিন সকলকে নিয়ে বৈঠক করে ওই ছাত্রদের ডেকে সতর্ক করেছি যাতে ভবিষ্যতে এই ঘটনা না ঘটে। তার প্রতিশ্রুতিও নেওয়া হয়েছে। তবে আইন আইনের পথে চলবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement