ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেলেন খড়্গপুর মহকুমার বাসিন্দা, চিন ফেরত সেই যুবক। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবকের সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ হয়েছে। অর্থাৎ, তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলেনি। ওই সূত্রে খবর, হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলেও আপাতত তাঁকে ঘরবন্দি অবস্থায় থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। তাঁর উপরে স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণও থাকবে।
জেলার বাসিন্দা ওই যুবকের শরীরে করোনার জীবানু মেলেনি শুনে স্বস্তি এসেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, রিপোর্ট 'পজিটিভ' হলে চিন থেকে দেশে ফেরার পরে ওই যুবক যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের সকলের স্ক্রিনিং করতে হত। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘জেলার বাসিন্দা ওই যুবকের শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি।’’ তাঁর আশ্বাস, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। জেলায় নতুন করে সন্দেহভাজন হিসেবেও কেউ চিহ্নিত হননি। জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারঙ্গী জানান, করোনা সংক্রমণ সন্দেহেই ওই যুবককে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সবদিক দেখে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা ওই যুবককে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। ওই যুবক না কি নিজেও হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না। ওই সূত্রের দাবি, প্রয়োজনে তাঁকে ‘ডিসচার্জ অন রিক্স বন্ডে’র মাধ্যমে ছাড়া হতে পারে। আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা। ওই সূত্র জানাচ্ছে, আপাতত ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে ঘরবন্দি থাকতে হবে। সব সময়ে মাস্ক পরে থাকতে হবে। আরও কিছু বিধিনিষেধও মানতে হবে। ওই যুবক যে ঘরে থাকবেন, সেই ঘরের জানলা খোলা রাখতে হবে।
২৩ জানুয়ারির বিমানে কলকাতায় ফিরেছিলেন ওই যুবক। কেরলের যাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন যে বিমানে ছিলেন, জেলার বাসিন্দা এই যুবকও সেই বিমানে ছিলেন। স্বাস্থ্য দফতর জানতে পেরেছিল, চিন ফেরত ২৩ জানুয়ারির এই বিমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক বাসিন্দা সহ পশ্চিমবঙ্গের আটজন রয়েছেন। রবিবার জেলার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানতে পারে স্বাস্থ্য দফতর।