স্বামী বিচ্ছিন্না যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন প্রতিবেশী যুবক। শুক্রবার বিকেলে বেলিয়াবেড়ার জুগডিহা গ্রামের ঘটনা। যুবতীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে সাঁকরাইল থেকে অভিযুক্ত তাপস পাণ্ডা ওরফে বাচ্চুকে ধরে পুলিশ। অটো চালক তাপসের বাড়িও জুগডিহায়। তিনি বিবাহিত। তাঁর সন্তানও রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে বাঁকুড়ার ঝিলিমিলি গ্রামে ওই যুবতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পরই স্বামীর সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তারপর থেকে দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে জুগডিহা গ্রামে বাপের বাড়িতে থাকেন ওই যুবতী। শুক্রবার বিকেলে তিনি পুকুর পাড়ে গিয়েছিলেন। তখন ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ওই সময় তাপস স্নান করে ফেরার পথে ওই যুবতীকে একা পেয়ে পাশের ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে ঠাকুমাকে সব জানান ওই যুবতী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে স্থানীয় তপসিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। রাতে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এ দিন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে যুবতীর পাশে বসেছিলেন তাঁর ঠাকুমা। বৃদ্ধা বলেন, “নাতনিকে একা পেয়ে তাপস যে এমন জঘন্য কাজ করবে ভাবতে পারিনি। ওর কঠোর শাস্তি চাই।” পুলিশ জানায়, ঘটনার পর তাপস সাঁকরাইলে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আজ, রবিবার অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হবে।