—প্রতীকী চিত্র।
চোর সন্দেহে গণপিটুনি, তাতে খুন হলেন এক যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর বন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে জামবনি থানার খাটকুরা এলাকায়। মৃতের বাড়ি ঝাড়গ্রামের বেনাগেড়িয়ায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম সৌরভ সাউ। ২৩ বছরের যুবকের বাড়ি ঝাড়গ্রামের বেনাগেড়িয়া এলাকায়। তাঁর বন্ধু অক্ষয় মাহাতো আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, গত ২২ মে সৌরভ তাঁর মায়ের স্কুটি নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে জামবনি থানার অন্তর্গত খাটখুরা এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। বিকেলে খাটখুরা এলাকার রাস্তা ধরে ফিরছিলেন তাঁরা। আচমকা চোর সন্দেহে তাঁদের উপর চড়াও হয় কয়েক জন। অতর্কিত ভাবে মারধর করা হয় সৌরভ এবং তাঁর বন্ধুকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খাটখুরা এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। সেখানে ঠিকাদারি সংস্থার রাস্তা নির্মাণের গাড়ি রাখা ছিল। ওই গাড়ি থেকে জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ ওঠে। সেখান থেকেই ওই গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জামবনি থানার পুলিশ। দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় তারা। ওই হাসপাতালে ন’দিন চিকিৎসার পর মৃত্যু হয়েছে সৌরভের। মৃতের বাবা অবনী সাউ পেশায় টোটোচালক। ছেলের মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ও এক বন্ধুর সঙ্গে মায়ের স্কুটি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল সে দিন। এলাকার মানুষজন চোর সন্দেহে আমার ছেলে ও তার বন্ধুকে মারধর করে। পরে আমরা বিষয়টি জামবনি থানা মারফত জানতে পেরে হাসপাতালে আসি। এখানে এসে দেখি আমার ছেলে ও তার বন্ধু ভর্তি রয়েছে। আজ (রবিবার) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘চোর সন্দেহে কাউকে এ ভাবে মারা ঠিক নয়। তার জন্য তো পুলিশ-প্রশাসন রয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
এই ঘটনায় এখনও গ্রেফতারির কোনও খবর নেই। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘’২২ তারিখের ওই ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’