হলদিয়ায় বিদ্যুৎ দফতরের অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ঠিকা শ্রমিকদের। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
কোন পাড়ায় আগে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হবে তা নিয়ে রেষারেষিতে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক ঠিকাদারের সুপারভাইজারকে মারধরের অভিযোগ উঠল। হলদিয়া উন্নয়ন ব্লকের কুমোরপুর গ্রামে মঙ্গলবার ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেন লো এবং হাইটেনশন বিদ্যুতের তার মেরামতের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ঠিকা শ্রমিকেরা। যার জেরে গোটা ব্লকে বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
বিদ্যুৎ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিল্পাঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও আমপানের পরেও এতদিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলদিয়া। শেষ পর্যন্ত ভেঙেপড়া খুঁটি এবং ছেঁড়া তার মেরামতি শুরু করেছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকা শ্রমিকেরা। সোমবার দুপুরে হলদিয়া ব্লকের কুমোরপুর গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি সারানোর কাজ চলছিল। সেই সময় ঠিকাদার সংস্থার সুপারভাইজার পরিতোষ পাত্রকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিতোষের দাবি, ‘‘দু’টি বিদ্যুতের খুঁটি ফের বসানোক চেষ্টা হচ্ছিল। সামান্য কাজ বাকি ছিল। সেই সময় স্থানীয় এক যুবক তাদের পাড়ার কাজ আগে কেন করা হয়নি তা জানতে চেয়ে আচমকা মারধর করতে থাকে। অন্য ঠিকা শ্রমিকেরা আমাকে উদ্ধার করে।’’
সুপারভাইজারকে মারধরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্রজলালচকে কাস্টমার কেয়ার অফিসের সামনে ধর্মঘটে বসেন ৪০ জন ঠিকাশ্রমিক। এলাকায় লো এবং হাইটেনশন বিদ্যুতের তারের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর নাগাদ মারধরের ঘটনায় ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান হলদিয়া বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার গয়াপ্রসাদ ঘোড়াই। রাজু মান্না নামে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপর বিকেল থেকে ফের বিদ্যুতের লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেন ঠিকা শ্রমিকেরা।
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার শ্রীনিবাস রাউৎ বলেন, ‘‘বিদ্যুতের খুঁটি লাগাতে গিয়ে ঠিকা শ্রমিকেরা সোমবার স্থানীয় লোকজনদের বাধার মুখে পড়েন। সামান্য অশান্তি হয়েছে। ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এলাকায় কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি ঠিক নয়।’’
অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।