এক মহিলার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে গোপীবল্লভপুরে সোনারিমারা থেকে। নিহত মহিলার নাম জ্যোৎস্না বেশরা (২৪)। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহের পাশ থেকে তাঁর বছর দু’য়েকের মেয়ে বালাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আপাতত শিশুটি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে মারার জন্য আঘাত করা হয়নি। জ্যোৎস্নাকে খুনের সময়ই শিশুটি আঘাত পেয়ে পড়ে যায়। তবে জ্যোৎস্নাকে খুনের কারণ নিয়ে ধন্দ রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে প্রাতঃকৃত্য করতে গিয়েছিলেন জ্যোৎস্না। এক ঘণ্টা পরও তিনি বাড়ি না ফেরার সন্দেহ হয় শাশুড়ির। মা ঘরে না আসায় কান্নাকাটি শুরু করে দেয় জ্যোৎস্নার বড় মেয়ে সোহাগী। তখন তাদের খুঁজতে পরিবারের দু’জন বাড়ির পাশের জঙ্গলে গিয়ে দেখতে পায়, দু’জনেই মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে। মৃতার খুড়শাশুড়ি বুধনি বেশরা বলেন, ‘‘ওদের চিৎকার শুনে আমরা গিয়ে দেখি মাটি রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পাশে দু’বছরের মেয়েটাও পড়ে ছিল। আমরা বালাকে প্রথমে তুলে আনি। তার পর জ্যোৎস্নাকে সকলে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’’
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানিয়েছে, প্রথমে আহত বালাকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির মাথার ডান দিকে গভীর ক্ষত রয়েছে। ডান চোখটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার তার অস্ত্রোপচারের
কথা রয়েছে।
গোপীবল্লভপুর হাতিমারার বাসিন্দা জ্যোৎস্নার বিয়ে হয় সোনারিমারার শুকলাল বেশরার সঙ্গে বছর ছয়েক আগে। শুকলাল কিছুদিন আগে খড়গপুরে একটি লোহার কারখানায় কাজ পেয়েছেন। সেখানেই থাকেনি। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনিও।