Marriage

দিল্লি থেকে ঘাটাল এসে বরের বাড়ির সামনে ধর্না! ১৩ ঘণ্টা পর আবার বিয়ে করলেন নাছোড় বৌ

একটি ওয়েবসাইটে আলাপ হয় শ্যামনগরের বাসিন্দা মোনালিসা জয়ধর এবং ঘাটালের যুবক বিবেক ভুঁইয়া। কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন মোনালিসা। বেশ কিছু দিন প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান নেন দু’জনে। তার পর...

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২২ ১৭:২৮
Share:

ধর্না শেষে দ্বিতীয় বার বিয়ে। —নিজস্ব চিত্র।

বিয়ে হয়েছিল আগেই। কিন্তু বর নাকি পাত্তা দিচ্ছিলেন না। স্ত্রীকে ছেড়ে বাড়ি চলে এসেছিলেন স্বামী। এ দিকে নাছোড় স্ত্রী দিল্লি থেকে সোজা পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন। স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে টানা ১৩ ঘণ্টা ধর্না দেন তিনি। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে আবার বিয়ের পিঁড়েতে বসলেন বর। অগত্যা আবার মালাবদল। আবার এক হল চারহাত। তবে এ বার প্রশাসনিক ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটালের কুঠিঘাট এলাকায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি বিয়ের ঘটকালি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে আলাপ হয় উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের বাসিন্দা মোনালিসা জয়ধর এবং ঘাটালের যুবক বিবেক ভুঁইয়ার। কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন মোনালিসা। বেশ কিছু দিন প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। আবেদন করেও শেষমেশ কোনও কারণে রেজিস্ট্রি করে বিয়েটা হয়নি।

তবে ঘাটালের মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেন বলে দাবি মোনালিসার। দিল্লিতে বিবেকের নিত্য যাতাযাত ছিল। সবই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ বেঁকে বসেন বিবেক। তিনি আর মোনালিসার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাননি। দিল্লি যাওয়াও বন্ধ করে দেন। বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ ঘাটালে আসার সিদ্ধান্ত নেন মোনালিসা। মঙ্গলবার কুঠিঘাটে উপস্থিত হন তিনি। কিন্তু মোনালিসার সঙ্গে দেখা করতে চাননি বিবেক। তাঁর বাড়ির লোকজনও এড়িয়ে যান যুবতীকে।

Advertisement

কিন্তু বিবেকের সঙ্গে সংসার করতে মরিয়া মোনালিসা বসে পড়েন ধর্নায়। এই খবর কানাকানি হতেই গ্রামবাসীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে বিবেকের বাড়ির সামনে। খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছে। পুলিশকে তাঁদের বিবাহিত জীবনের প্রমাণ হিসাবে ছবি এবং বেশ কিছু তথ্য দেন মোনালিসা। এর পর গ্রামবাসীদের বড় অংশও মোনালিসাকে সমর্থন জানান। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ঘাটাল থানার ওসি-সহ পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। ডাকা হয় বিবেকের পরিবারের সদস্যদের। আলোচনার পর তাঁরাও মোনালিসাকে বাড়ির বৌয়ের স্বীকৃতি দিতে রাজি হন। অন্য দিকে, গ্রামবাসীরা দাবি করেন, এ বার সবাইকে প্রমাণ রেখে বিয়ে করতে হবে যুগলকে।

এর পর গ্রামের কালী মন্দিরে মালাবদল, সিঁদুরদান করে দ্বিতীয় বার বিয়ে হয় বিবেক ও মোনালিসার। টানা ১৩ ঘণ্টা স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসার পর আবার বিয়ে করে হাসি ফোটে মোনালিসার মুখে। তবে বিবেক কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement