মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ নিজস্ব চিত্র
মেয়ের সামনেই তার মাকে মেরে বিষ খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার ধরমপুরে। মৃতের মেয়ে বলেন, ‘‘গত ৩ বছর ধরে আমার মাকে মারধর করত। আমার মাকে সবাই মিলে মারত। দুপুরে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাবা মাকে মারছে। তার পর বিষ খাইয়ে দেয়। আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও মারে। আমার মামা, মাসিকেও মেরেছে ওরা।’’ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম গীতা সাঁতরা। বেশ কয়েক বছর আগে ধরমপুরের তপন সাঁতরার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদর দুই সন্তান রয়েছে। মৃতের বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই গীতার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ১১ জুনও গীতাকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে বাপের বাড়ির লোকেরা যান। পুলিশের সাহায্যে তাঁরা গীতাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পর ১৮ জুন মৃত্যু হয় গীতার। বাপের বাড়ির অভিযোগ, গীতাকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই শ্বশুরবাড়ির সকলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। শনিবার ময়নাতদন্তের পর গীতার দেহ নিয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেই আসেন বাপের বাড়ির লোকেরা। বাড়ির দুয়ারে দেহ রেখে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চলে বিক্ষাভ। এছাড়াও গীতার দুই সন্তানের জন্য সরকারি সাহায্যেরও দাবি করা হয়।
দাসপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, তপনের ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজও চলছে। পুলিশের তরফে অবশ্য মৃতদেহ রেখে চলে যাওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়। তাদের দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর শ্বশুরবাড়িতেই নিয়ে যান গীতার বাপেরবাড়ির লোকেরা। মৃতদেহ পৌঁছতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। মেয়ের বাপের বাড়ির সকলেই উপস্থিত ছিলেন। বৃষ্টির কারণে দেহ সৎকার রাতে করা হয়নি। রবিবার সকালে মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে।