চলছে কেবল সারানোর কাজ। মেদিনীপুরে। — নিজস্ব চিত্র।
ফুটপাথের কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়তে গিয়ে কেটে গেল টেলিফোনের কেব্ল। ফোন বিভ্রাটে ভোগান্তি শহরের বাসিন্দাদের। সোমবার রাতে মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড় থেকে কেরানিতলা যাওয়ার রাস্তায় গর্ত খোঁড়ার সময় টেলিফোনের অনেকগুলি কেব্লের ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ। কেবল কেটে যাওয়ায় শহরের জর্জকোর্ট, বিধাননগর, শরৎপল্লি, স্টেশন রোড, শেখপুরা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিএসএনএল-এর মেদিনীপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জের এসডিও বিলাসকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘কালেক্টরেট মোড় থেকে কেরানিতলা যাওয়ার রাস্তার ধার দিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকার টেলি যোগাযোগের প্রধান কেব্ল লাইন গিয়েছে। ওই কেবল কেটে যাওয়ায় বহু লোকের টেলিফোন, ইন্টারনেট সংযোগ বিকল হয়ে পড়েছে। কেব্ল মেরামত করতে কয়েকদিন সময় লাগবে।’’
গত বছর থেকেই মেদিনীপুর শহরে ফুটপাথ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তারপর একাধিকবার টেলিফোনের কেব্ল কেটে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয় বলে অভিযোগ। টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গিয়েছে, খোঁড়াখুঁড়ির দরুন একটি রাস্তার ধারে ৫০ মিটার, ১০০ মিটার দূরত্ব অন্তর কেব্ল কেটে যাচ্ছে। বারবার কেব্ল জয়েন্ট করার ফলে বেড়ে যাচ্ছে রেজিস্ট্যান্ট। এর ফলে ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্পিড’-ও কমছে। নিয়ম অনুযায়ী, টেলিফোনের কেব্ল রাস্তার তিন-চার ফুট নীচ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। যদিও মাটির এক ফুট নীচ দিয়ে নিয়ে যাওয়ায় সামান্য খোঁড়াখুঁড়িতেই কেব্ল কেটে যাচ্ছে।
বিলাসবাবু বলেন, ‘‘কেব্লগুলি মাটির আরও গভীর দিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। আগে যখন কেব্ল বসানোর কাজ হয়েছে তখন এ বিষয়ে নজর দেওয়া হয়নি। যে সব জায়গা দিয়ে টেলিফোনের প্রধান কেব্ল গিয়েছে সেই জায়গাগুলিতে যন্ত্রের পরিবর্তে মানুষ যাতে কাজ করে, সে কথা পুরসভাকে জানিয়েছি। তা হলে কেব্লের ক্ষতি কমবে।’’
বিলাসবাবুর অভিযোগ, রাস্তা খোঁড়ার পরদিনই ঢালাই করার কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। কর্মী কম থাকায় এত দ্রুত কেটে যাওয়া কেব্ ল জোড়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের নিষেধ না শুনেই রাস্তা ঢালাই করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে।’’ এ বিষয়ে মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, ‘‘যন্ত্রের পরিবর্তে মানুষ রাস্তা খোঁড়ার কাজ করলে অনেক দিন সময় লাগবে। এতদিন মাটি খোঁড়া অবস্থায় রাস্তা ফেলে রাখা যাবে না। সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করব।’’