পাশের পূর্ব মেদিনীপুর নির্মল জেলার স্বীকৃতি পেয়েছে। যদিও নির্মল বাংলা প্রকল্পে এখনও বেশ পিছিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর। রাজ্যের মধ্যে জেলার স্থান ১৪তম!
নির্মল বাংলা প্রকল্পে কাজের গতি যে আশানুরূপ নয়, তা মানছেন জেলার এক প্রশাসনিক আধিকারিকও। তবে তাঁর দাবি, “গত কয়েক মাসে প্রকল্পের কাজ অনেকটা এগিয়েছে। আগে অবস্থা আরও খারাপ ছিল!” ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে নির্মল বাংলা প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে কি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাবে? সদুত্তর এড়িয়ে ওই আধিকারিকের জবাব, “দ্রুত কাজ এগোনোর সব রকম চেষ্টা চলছে। দেখা যাক কতটা কি হয়!” তাঁর যুক্তি, “শুরুর দিকে একটু সমস্যা ছিল। প্রথম দিকে কাজের গতি শ্লথ না থাকলে আজ এই পরিস্থিতি হত না!”
২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট পরিবারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬২২। এর মধ্যে শৌচাগারহীন পরিবারের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬১ হাজার। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৬০ হাজার পরিবারে শৌচাগার নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। আরও ৩ লক্ষ ১ হাজার পরিবারে শৌচাগারের কাজ বাকি।
জেলার প্রায় ৬০টি গ্রামকে নির্মল ঘোষণা করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। যদিও সার্বিক ভাবে প্রকল্পের কাজ এখনও অনেকটাই বাকি। প্রকল্পে নানা দুর্নীতির অভিযোগও উঠতেও শুরু করে। অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ অমান্য করেই নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট ব্যবহার হচ্ছে শৌচাগার নির্মাণের ক্ষেত্রে। এমনকী নির্মাণ সামগ্রী পরিমাণেও কম দেওয়া হচ্ছে। ফলে সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাস কয়েক আগে কড়সাতে এমনই একটি নির্মীয়মাণ শৌচাগার ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, “প্রকল্পে নিম্মমানের কাজ হচ্ছে বলে শুনিনি! অভিযোগও পাইনি! অভিযোগ এলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তাঁর আশ্বাস, “শৌচাগার নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখতে প্রয়োজনে পরিদর্শন হবে।”