—ছবি সংগৃহীত।
মাত্র দু’মাসের অলিম্পিক্স প্রস্তুতিতে গিয়েছিলেন প্রণতি নায়েক। ফাইনাল রাউন্ডে উঠতে না পারলেও সাধ্য মতো লড়ে এসেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার করকাই গ্রামের এই মেয়ে। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে এ বার তাঁকে সংবর্ধনা জানাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন।
ইতিমধ্যে প্রণতির বাড়িতে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। বাবা শ্রীমন্ত নায়কের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে পিংলা ব্লক প্রশাসনের তরফে। যদিও ওই দিন দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে প্রণতিকে হাজির থাকতে হবে বলে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকারকে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। শ্রীমন্তের কথায়, ‘‘মেয়ে ওই দিন দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে থাকবে। তবে আমি ও আমার স্ত্রী যাব জেলা প্রশাসনের সম্মান গ্রহণ করতে। মেয়ে অলিম্পিক্সে অংশ নিয়েছে, এটাই বড় প্রাপ্তি।’’
টোকিয়ো থেকে ফিরে করকাইয়ের চককৃষ্ণদাস গ্রামে বাবা, মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রণতি। তার পর আবার কলকাতায় চলে এসেছেন। টোকিয়োর মাঠে গোটা বিশ্বের সামনে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে এসেছেন পিংলার ‘দস্যি’মেয়ে। ২৫ জুলাই সকালে গোটা গ্রাম টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিল। শেষ মুহূর্তে অলিম্পিক্সের দরজা খুলে গিয়েছিল প্রণতির কাছে। অতিমারির সময়ে অনুশীলনের বিশেষ সুযোগও পাননি তিনি। আশানুরূপ সাফল্য না এলেও মেয়ে অলিম্পিক্সের মতো মঞ্চে তো পৌঁছে গিয়েছেন, এতেই খুশি চককৃষ্ণদাস গ্রাম।