West Bengal Lockdown

কবে থেকে শুরু ধান কেনা, সংশয়ে চাষিরা

লকডাউনের জেরে এমনিতেই সাধারণ মানুষের হাতে বাড়ন্ত নগদ অর্থের জোগান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০০:৪৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

করোনা সংক্রমণের নিরিখে কেন্দ্রের ‘হটস্পট’ হিসাবে নাম রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের। তার ওপর ৩মে পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে এবার সরকারি উদ্যোগে আদৌ সময়মতো সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হবে কিনা তা নিয়ে

Advertisement

সংশয়ে চাষিরা।

লকডাউনের জেরে এমনিতেই সাধারণ মানুষের হাতে বাড়ন্ত নগদ অর্থের জোগান। তার ওপর সময়মতো ধান কেনা না শুরু হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে জেলার চাষিদের। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কবে থেকে ধান কেনা শুরু হবে তা নিয়ে এখনও এসে পৌঁছয়নি কোনও সরকারি নির্দেশিকা।সহায়কমূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে যাতে কোনও বিলম্ব না হয় সেই আবেদন জানিয়ে জেলাশাসক ও খাদ্য নিয়ামককে আবেদন জানিয়েছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।

Advertisement

ইতিমধ্যে মাঠে পাকতে শুরু করেছে বোরো ধান। কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে ধান কাটা। প্রত্যেক বছর সাধারণত মে মাস থেকে শুরু হয় সরাকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা। নতুন ধানের পাশাপাশি কৃষকদের একাংশ আমন মরসুমের মজুত ধানও বিক্রি করে থাকেন শিবিরে। করোনা সংক্রমণের জেরে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন চলবে ৩ মে পর্যন্ত।করোনা সতর্কতায় রাজ্যের ৪ জেলা সহ দেশের মোট ১৭০ টি জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। রাজ্যের চার জেলার মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরও।স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে লকডাউনের পাশাপাশি রয়েছে আরও অনেক বিধিনিষেধও। এই পরিস্থিতিতে বাইরের জেলা ও রাজ্য থেকে শ্রমিক না আসার কারণে একদিকে যেমন বোরো ধান কাটা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়, তেমনি সময়মতো ধান কেনা শুরু করা যাবে কি না তা নিয়েও স‌ংশয়ে চাষিরা।

১ মে থেকে রাজ্যজুড়ে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনা শুরু হবে বলে জানিয়েছে খাদ্য দফতর।কিন্তু স্পর্শকাতর জেলার ক্ষেত্রে কীভাবে তা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ দিকে সময়মতো শিবির না করতে পারলে চাষির আর্থিক অবস্থা যে আরও খারাপ হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু তাই নয়, মজুত আমন ধান বিক্রি করতে না পারলে গোলায় নতুন ধানও ঢোকানো যাবে না বলে দাবি চাষিদের। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।

বৃহস্পতিবার জেলাশাসক ও জেলার খাদ্য নিয়ামককে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সময়মতো ধানক্রয় শিবির করে পঞ্চায়েত ভিত্তিক ধান কেনার বন্দোবস্ত করার আবেদন জানানো হয় সংগঠনের তরফে। সংগঠনের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘যেহেতু এই জেলা স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষিত হয়েছে, তাই এখানে ধানক্রয় শিবির সময়মতো চালু করায় সমস্যা হতে পারে। চাষিরাও সমস্যায় পড়বেন। তাই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের

আবেদন জানিয়েছি।’’

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কবে থেকে জেলায় ধান কেনা শুরু হবে সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এখনও নির্দেশ আসেনি। নির্দেশ এলেই ধান কেনা শুরু হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement