এত্তা-জঞ্জাল: তমলুকে হাসপাতাল চত্বরে জমে জঞ্জাল। নিজস্ব চিত্র
নিকাশি নালার জলে ভাসছে কাগজ ও প্লাস্টিক চায়ের কাপ। নালার পাশে জঞ্জালের স্তূপ। নোংরা জল-আবর্জনার পাশেই নাকে হাত চাপা দিয়ে বসে থাকেন রোগীর পরিজনেরা। নির্মল বাংলা গড়তে প্রচারের অন্ত নেই। অথচ যে হাসপাতালে রোগীরা আরোগ্য লাভের আশায় আসছেন, সেখানেই ছড়াচ্ছে দূষণ। তমলুকে জেলা হাসপাতাল চত্বরে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ।
জেলা হাসপাতালে দৈনিক কয়েকশো রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসেন। অন্তর্বিভাগেও ভর্তি থাকেন আরও অনেক রোগী। অথচ সেই হাসপাতালের স্বাস্থ্যই বেহাল। শুধু হাসপাতাল চত্বরে নয়, হাসপাতালের রোগীর পরিজনেদের প্রতীক্ষালয়ের সামনেও পড়ে থাকে আবর্জনা। প্রতীক্ষালয়ের পাশে নালার ময়লা জল, জঞ্জাল ও আগাছায় ভরে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। যা কার্যত মশার আঁতুড়ঘর।
প্রতীক্ষালয়ে পাশেই বসেছিলেন নন্দীগ্রামের খোদামবাড়ির বাসিন্দা প্রকাশ মিদ্যা।
তাঁর অভিযোগ, ‘‘মাথায় আঘাত লাগায় গত চারদিন ছেলে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু এখানে আবর্জনার গন্ধে টেকা দায়। কয়েকদিন হাসপাতাল চত্বরে আবর্জনা পরিষ্কার করতেই দেখলাম না।’’
জরুরি বিভাগের পাশাপাশি হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের সামনে ও নিকাশি নালাতেও জমে থাকে জঞ্জাল।
নালার নোংরা জলের পাশেই বেদিতে বসে অপেক্ষা করেন রোগীর পরিজনেরা। অন্তর্বিভাগের প্রবেশপথের সামনে রাস্তার একাংশও জমা জলে ডুবে। পাশেই সিঁড়ির তলায়ও শুয়ে-বসে অপেক্ষা করছেন বহু রোগীর পরিজন। পাঁশকুড়ার রাতুলিয়ার বাসিন্দা শ্রীমন্ত জানা বলছিলেন, ‘‘হাসপাতালের নিকাশি নালা, ডাস্টবিন জঞ্জালে উপচে পড়ছে। জমা জল পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রোগী ছেড়ে যাব কোথায়, তাই এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’’
আবর্জনা সাফাইয়ের এমন বেহাল অবস্থার কথা মেনে নিচ্ছেন জেলা হাসপাতালের সুপার গোপাল দাস। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালের নিকাশি ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ চলছে। হাসপাতালে এই কাজ চলায় হাসপাতালের চত্বরে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ করা যাচ্ছেনা। ফলে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে।’’