নার্সিংহোম মালিকদের বৈঠক

একটু মানবিক হোন, আর্জি জেলাশাসকের

বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কড়া হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ঠেকাতে বিধানসভায় সম্প্রতি পাশ হয়েছে ‘ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট বিল’ও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০০:৫৪
Share:

বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কড়া হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ঠেকাতে বিধানসভায় সম্প্রতি পাশ হয়েছে ‘ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট বিল’ও। এরই মধ্যে আগামী সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে বৃহস্পতিবার জেলার নার্সিংহোম মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, তড়িঘড়িই এই বৈঠক ডাকা হয়।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমে অভিযান শুরু করেছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এখনও পর্যন্ত কতগুলো নার্সিংহোমে পরিদর্শন হয়েছে, পরিকাঠামোগত ফাঁকফোকর থাকায় কতগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ সব তথ্য জানতে চেয়েছিলেন জেলাশাসক। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা জানিয়েছিলেন, গত চার মাসে ১০৬টি নার্সিংহোম পরিদর্শন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭টিকে শো- কজ করা হয়েছে। লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ না করানোয় ৫টি নার্সিংহোমকে ‘ক্লোজার নোটিস’ ধরানো হয়।

এই সব তথ্য-পরিসংখ্যান নিয়েই এ দিন বৈঠকে বসেন জেলাশাসক। বৃহস্পতিবার সকালে কালেক্টরেটের সভাকক্ষে এই বৈঠকে জেলাশাসক স্পষ্ট বার্তা দেন, কোনও অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। ন্যূনতম পরিকাঠামো না থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেই। আগাম রবিবারই জেলায় আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগে এ দিনের বৈঠকে নার্সিংহোম মালিকদের সতর্ক করার পাশাপাশি জেলাশাসকের আর্জি, “আপনারা একটু মানবিক হন।” একই অনুরোধ জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবুও। পাশাপাশি তাঁর কড়া বার্তা, “হয় আইন মেনে নার্সিংহোম চালু রাখুন, না হয় ব্যবসা বন্ধ করুন। এর মাঝে কিছু নেই।”

Advertisement

এর আগেও নার্সিহোম মালিকদের নিয়ে জেলায় বৈঠক হয়েছে। তবে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠক এই সময়কালের মধ্যে এই প্রথম। জঙ্গলমহলের এই জেলায় বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোম রয়েছে ১৩২টি। এ দিনের বৈঠকে সকলকে ডাকা হয়েছিল। বেশিরভাগ নার্সিংহোম মালিক এসেওছিলেন।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও নার্সিংহোম পরিদর্শন চলছে। অনিয়ম পেলে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে নতুন আইন সম্পর্কে জানানো হয়। বুঝিয়ে দেওয়া হয়, বিনা কারণে রোগীকে দিনের পর দিন আটকে রাখা, বিল বাড়ানো, এ সব বরদাস্ত করা হবে না। বৈঠকে ছিলেন জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার মনোরঞ্জন ঘোষও। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়ে দেন, “সরকারি হাসপাতাল- বেসরকারি হাসপাতাল সমান্তরাল ভাবে চলুক। কিন্তু কোনও রকম বেআইনি কাজ চলবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement