জল কমলেও ডিঙিই ভরসা। ঘাটাল পুর-শহরে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
একটু একটু জল নামতে শুরু করেছে ঘাটালে। শনিবার সকাল থেকে শিলাবতী ও কংসাবতী-সহ বিভিন্ন নদীর জল কমছে। দিন সাতেক পরে ঘাটাল শহর-সহ মহকুমার অন্যান্য জলমগ্ন এলাকা থেকেও জল নামছে।
অতিবর্ষণ এবং জলাধারগুলির ছাড়া জলে জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঘাটাল, দাসপুরে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই টানা আট-দশ দিন জলবন্দি ছিলেন কয়েক হাজার বাসিন্দা। বেড়েছিল দুর্ভোগ। ঘাটাল ব্লকের ৭০-৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। জলের নিচে ছিল ঘাটাল শহরের ১২টি ওয়ার্ড। জল কমলেও সেই সব জায়গায় এখনও নৌকায় করে যাতায়াত চলছে। জলের চাপে পরপর বাঁধ ভেঙে দাসপুর-১ ব্লকের বহু গ্রাম এখনও জলের নিচে। শনিবার সেখানেও ধীর গতিতে হলেও জল কমতে শুরু করেছে।
অতীত অভিজ্ঞতা বলেছে, জল নামার সঙ্গে সঙ্গেই ঘাটালে জলবাহিত রোগের প্রকোপ শুরু হয়। বাড়ে মশার দাপট। এ বার জলস্তর খুব বেশি বাড়লেও নিচু এলাকায় বহু নলকূপ কিংবা পানীয় জলের ট্যাপ জলের নিচে আছে এখনও। কোথাও কোথাও বাড়ির সাব মার্সিবেল পাম্পও ডুবে গিয়েছে। তাই এ বারও জলবাহিত রোগের আশঙ্কা থাকছেই।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ও পুরসভাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে জল পুরোপুরি না কমলে নলকূপগুলি সংস্কার করা যাবে না। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা সতর্ক আছেন। জল কমা শুরু হতেই জনস্বাস্থ্য নিয়ে প্রচারও শুরু হয়েছে। আশা কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন।
ঘাটালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মনোজিৎ বিশ্বাস বলেন, “পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো ও পানীয় জল পরিস্রুত করে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” মহকুমা সেচ আধিকারিক সুমিত কুমার দাস জানান, শুক্রবার জলস্তর বাড়েনি। শনিবার নদীগুলি থেকে ধীরে হলেও জল কমতে শুরু করেছে। নতুন করে বৃষ্টি না হলে দু’চার দিনের মধ্যে বহু এলাকায় জল পুরোপুরি নেমে যাবে।