ফাইল চিত্র।
ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (নাক)-এর মূল্যায়নে মান উন্নয়ন হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কেও ছাপিয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যদিও মানোন্নতি হলেও এতে আত্মতুষ্টির অবকাশ নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যাসগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিবাজীপ্রতিম বসু।
বুধবার নাক-এর মূল্যায়নের ফলাফল জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন উপাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত রিপোর্ট অনলাইনে নাক-এর কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘৭টি মানদণ্ডের নিরিখে বিশ্ববিদ্যালকে ২.৭৯ নম্বর দিয়েছে নাক। পাশাপাশি, গ্রেডও বেড়েছে। নাকের বিচারে বি প্লাস প্লাস পেয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। গত বার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেড ছিল বি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ফলাফলে আত্মতুষ্টির অবকাশ নেই। বরং আরও ভাল ফল করতে পারলে আমরা খুশি হতাম।’’
উপাচার্য জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১৫-১৭ সেপ্টেম্বর নাক-এর প্রতিনিধিদল এসে পরিদর্শন করেছিল। তবে ‘অ্যাসেসমেন্ট রেজাল্টে’ খুশি করতে না পারায় নাক-এর কাছে আরও সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। যদিও নাক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে তাদের মানদণ্ডই চূড়ান্ত। মঙ্গলবার সেই ফলাফল হাতে পান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নাক-এর বিচারে বি প্লাস গ্রেড পেয়েছে। ২০১৫ সালে বি প্লাস প্লাস গ্রেড পেয়েছিল ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সে সময়ে বিশ্বভারতীর পয়েন্ট ছিল ২.৮২। অথচ এ বার ২.৭৫ পয়েন্ট পেয়েছে বিশ্বভারতী। ফলে নাক-এর বিচারে বিশ্বভারতীকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়।