—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দু'দিনের টানা বৃষ্টিতে জল জমেছে আনাজের খেতে। আনাজ নষ্টের সঙ্গে জলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষের। আনাজ চাষের সঙ্গে আনাজের বীজতলা ও বেশকিছু এলাকায় আমন চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাষিদের অভিযোগ, দেখা নেই কৃষি দফতরের।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুরে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নন্দীগ্রামে। জেলার ধান ও আনাজ চাষের বলয় হিসেবে পরিচিত পটাশপুর ও এগরা। পটাশপুরে কেলেঘাই নদীর জলাভূমি এলাকায় ব্যাপক হারে আনাজের চাষ হয়। এবারেও পটাশপুর-১ ব্লকের গোকুলপুর ও ব্রজলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েক’শো একর জমিতে আনাজের চাষ হয়েছে। এই সময় কুদরি, উচ্ছে, ঢেঁড়শ, পটল, বরবটি চাষ হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে খেত থেকে সেই ফসল উঠতে শুরু করেছিল। গোকুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কনকপুর, আড়গোড়া, অযোধ্যাপুর, গোকুলপুর এলাকায় আনাজের চাষ হয়েছে। এই সময় আড়গোড়া এলাকায় ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষের ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। কপির বীজতলা অধিকাংশ চাষিরা সাদা পলিথিনের ছাউনিতে ঢেকেছেন। দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে কেলেঘাই নদীর নীচু এলাকায় আনাজ খেত জলমগ্ন হয়েছে। খেতে জল জমায় ফসল নষ্টের ভয়ে তড়িঘড়ি চাষিরা আনাজ তুলে নিচ্ছেন। তবে আনাজ গাছের গোড়ায় জল থাকায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কপির বীজতলাতেও জল জমে থাকায় অনেক চারা নষ্ট হয়েছে।
কপি লাগানোর জন্য মাটি তৈরির মুহূর্তে জল জমে থাকায় চারা রোপণের কাজ অনেকটাই পিছিয়ে গেল বলে দাবি কৃষকদের। আনাজ খেতে জল জমায় অর্থিক লোকসানে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা। এগরার আলংগিরি, সাহাড়া, পানিপারুল, দুবদা এলাকায় আমন ধান রোপণের কাজ গত দু’সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে। সদ্য রোপণ করা খেত ও বীজতলা জলে ডুবে যাওয়ায় শুরুতেই লোকসানের মুখে এলাকার কৃষকেরা। মাঠ জলমগ্ন হওয়ায় ভিন্ রাজ্য ও এই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও পর্যন্ত কৃষি দফতরের কোনও কর্তার দেখা না মেলায় ক্ষুব্ধ কৃষকেরা। যদিও জেলা কৃষি দফতরের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ কতটা তার সমীক্ষা শুরু হয়েছে।
আড়গোড়ার এক আনাজ চাষি মলিন মেইকাপ বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে জমিতে জল জমায় আনাজ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হল। কপি চাষের কাজও পিছিয়ে গেল। সরকার যাতে চাষের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে সেই আবেদন জানাই।’’ পটাশপুর-১ ব্লকের সহ কৃষি আধিকারিক স্নিগ্ধা মণ্ডল বলেন, ‘‘জলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের কাজ শুরু হয়েছে। আনাজ ও আমন চাষের ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি করে জেলাতে পাঠানো হচ্ছে।’’
বাড়িতে চুরি
এগরা: বাড়িতে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। এগরার তেলামি গ্রামে বুধবার বিকেলে এক ব্যক্তির বাড়িতে আলমারি ভেঙে সোনার গয়ন-সহ নগদ টাকা চুরি যায়। বৃহস্পতিবার এগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাড়ির মালিক। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।