তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমায় জখম ২, পুড়ল বাইক 

রবিবার রাতের ঘটনায় দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভগবানপুর শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০০:১০
Share:

পুড়ে যাওয়া স্কুটি।

এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত ভগবানপুর। চলল বোমাবাজি। পুড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক বাইক। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে র‍্যাফ এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী। রবিবার রাতের ঘটনায় দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২ অক্টোবর ভগবানপুরে বেঁউদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি ইয়াকুব আলিকে লালপুরে মারধরের অভিযোগ উঠে হারুন রশিদ গোষ্ঠীর লোকেদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতা হারুন ভগবানপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ইয়াকুব তৃণমূল নেতা আজিমুল হোসেন গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত। আজিমুল ভগবানপুর-১ ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। ঘটনায় ভগবানপুর থানায় হারুন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। ওই ঘটনায় হারুন গোষ্ঠী অনেকটাই চাপে পড়ে যায়। আজিমুল হোসেনের দাবি, রবিবার রাত ৮টা নাগাদ এলাকা দখল করতে হারুন রশিদ এবং আশরাফ আলি গোষ্ঠীর লোকেরা লালপুরে বোমাবাজি করে।

সূত্রের খবর সেই সময় আজিমুলের ভাই এবং ভাগ্নে একটি স্কুটিতে করে গাঁধী রোডের দিকে আসছিলেন। অভিযোগ লালপুরের গ্রামের মধ্যে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে হারুনের লোকেরা। বোমের সপ্লিন্টারে আহত দু’জন স্কুটি ছেড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায়। পরে হারুনের লোকজন স্কুটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় কাছেই আর একটি বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ভগবানপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এবং র‍্যাফ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতভর এলাকায় চলে পুলিশি টহল। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সোমবার সকালে পুলিশ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর শেখ সিরাজুল এবং শেখ মজলে নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। এ দিন তাদের কাঁথি আদালতের বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

তৃণমূলে সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি এবং ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে লালপুরে তৃণমূলের বিবদমান দুই গোষ্ঠীর নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে দলের তরফে কোনও ঝামেলা এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে বিরত থাকতে তাদের সাবধান করা হয়। আজিমুলের অভিযোগ, ‘‘হারুন এলাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি করায় প্রতিবাদ করি। তাই নিজের ক্ষমতা দেখাতে বোমাবাজি করে সন্ত্রাস তৈরি করছে। আমাদের প্রাণে মারার চেষ্টা করছে। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ এ বিষয়ে হারুন রশিদকে ফোন করলেও তিনি ফোন তোলেননি। এসএমএস পাঠানো হলেও উত্তর দেননি।

ভগবানপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মদনমোহন পাত্রের দাবি, ‘‘বোমাবাজির সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও যোগ নেই। জায়গা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই কান্ড। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’’

ভগবানপুর উত্তর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি দেবব্রত কর বলেন, ‘‘ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে তৃণমূল নিজেদের মধ্যে বোমাবাজি করছে। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে ওরা। পুলিশ দর্শকের ভূমিকায়।’’ এগরার এসডিপিও শেখ আখতার আলি বলেন, ‘‘দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement