গতিধারা প্রকল্পের টাকা নিয়েও গাড়ি কেনেননি যাঁরা তাঁদের সময় বেঁধে দিল পরিবহণ দফতর। এই সময়ের মধ্যে হয় তাঁদের গাড়ি কিনতে হবে, নাহলে ফেরত দিতে হবে টাকা। ২০১৫-১৬ আর্থিক বর্ষে ১৫১ জনের মধ্যে ৫১ জন টাকা পেয়ে গাড়ি কেনেননি। দু’বার সময় দিলেও তাঁদের মধ্যে ২৫ জন এখনও গাড়ি কেনেননি। এ বার পরিবহণ দফতরের নজর ২০১৬-১৭ সালে প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকদের উপর। তাঁদেরই এ বার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল। জেলা পরিবহণ আধিকারিক বিশ্বজিৎ মজুমদার বলেন, ‘‘৩০ জুলাই এর মধ্যে ২০১৬-১৭ সালের উপভোক্তাদের গাড়ি কেনার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।’’
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, ২০১৬-১৭ সালে ১৩৫ জন গতিধারা প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন এখনও গাড়ি কেনেন নি। মঙ্গলবার সকালে এঁদের মেদিনীপুরে পরিবহণ দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। গাড়ি না কেনার কারণ হিসেবে প্রায় সকলেই জানান, সংসারের প্রয়োজনে ওই টাকা খরচ করে ফেলেছেন। তবে বেশিরভাগ উপভোক্তাই শীঘ্র গাড়ি কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০১৫-১৬ সালে ১৫১ জন এই প্রকল্পের টাকা পেয়েছিল। তার মধ্যে ৫১জন টাকা পেয়েও গাড়ি কেনেননি। পরিবহণ দফতর তাঁদের বাড়িতে নোটিস পাঠিয়ে ৩০ জুনের মধ্যে গাড়ি কিনতে বলেছিল। ওই সময়সীমার মধ্যে মাত্র ৯ জন গাড়ি কিনেছেন। আর বেশিরভাইগই আরও সময় চেয়েছেন। তারপর পরিবহণ দফতর ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়। তার মধ্যে আরও ১৩ জন গাড়ি কিনেছেন। অর্থাৎ ২০১৫-১৬ সালের ২৫ জন এখনও গাড়ি কেনেননি।
কিন্তু কেন? ঘাটালের বাসিন্দা বিদেশরঞ্জন দোলই বললেন, ‘‘যখন টাকা পেয়েছিলাম, তখনই তা অন্য দরকারে খরচ হয়ে গিয়েছিল। এখন গাড়ি কিনতে বেসরকারি ফিনান্স কোম্পানির সাহায্য নিতে বাধ্য হচ্ছি।’’ ঘাটালেরই হাসিবুল আলিও ২১০৫-১৬ সালে টাকা পেয়ে খরচ করে ফেলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘এ বার টাকা ধার করেই গাড়ি কিনব ঠিক করেছি।’’ জেলা পরিবহণ আধিকারিক বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘২০১৫-১৬ সালে টাকা পেয়েও যাঁরা গাড়ি কেনেননি, তাঁদের দু’বার সময় দেওয়া হয়েছে। এ বার প্রসাশনের উচ্চ মহলে বিষয়টি জানাব।’’