বাসের সংখ্যা কম। অপেক্ষায় যাত্রীরা। শুক্রবার রাতে মেচেদা বাসস্ট্যান্ডে। নিজস্ব চিত্র
কয়েকদিন আগেই মেদিনীপুরে হয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা। সেখানে বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি কর্মী-সমর্থকের পৌঁছে দিতে বুকিং করা হয়েছিল বহু বেসরকারি বাস। ভোগান্তিতে পড়েছিলেন আম জনতা। সেই রেশ কাটার আগেই আজ, শনিবার ফের দুর্ভোগে পড়তে পারেন জেলার মানুষেরা। সৌজন্য, শাসকদল তৃণমূলের শহিদ দিবস পালন।
২১ জুলাইয়ের সমাশে যোগ দিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় যাবেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। আর তাঁদের সমাবাশে পৌঁছে দিতে আগাম ‘বুকড্’ জেলার বিভিন্ন রুটে চলা বেসরকারি বাস। যার জেরে আজ, শনিবার দিনভর ভোগান্তিতে পড়তে পারেন হলদিয়া-মেচেদা, নন্দীগ্রাম-মেচাদা-সহ একাধিক রুটের নিত্যযাত্রীরা।
তৃণমূল প্রভাবিত বাস মালিকদের সংগঠন ‘পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক সুকুমার বেরা বলেন, ‘‘মেচেদা, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, কাঁথি, দিঘা, এগরা এবং পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন রুটে মোট সাড়ে ১,১০০টি বেসরকারি বাস চলে। সমাবেশে যাওয়ার জন্য তার মধ্যে ৭০০ বাস বুকিং করা হয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় নিত্যযাত্রীদের সংখ্যা কম থাকবে। কিন্তু ছাত্রছাত্রী-সহ সাধারণ মানুষের কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।’’
হলদিয়া টাউনশিপ বাস স্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন মোট ৮০টি বেসরকারি বাস চলে। সরকারি বাস চলে ১৮টি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমাবেশের জন্য ৮০টি বেসরকারি বাসই আগাম বুকিং করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন সকালেই ৭টি বাস রুট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। হলদিয়ার বাস মালিক সংগঠনের নেতা প্রসেনজিৎ ঘড়া বলেন, ‘‘৮০টি বেসরকারি বাস নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি বাস ও অন্য যানবাহন থাকছে।’’ ফলে শনিবার সকাল থেকে হলদিয়া থেকে বিভিন্ন রুটে যাতায়াতের ভরসা হবে মাত্র ১৮টি সরকারি বাস।
একইভাবে নন্দীগ্রাম, মেচেদা, কলকাতা-সহ বিভিন্ন রুটে চলা ৪৫টি বেসরকারি বাসের মধ্যে ৩০টি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তৃণমূল ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল। কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে বাসের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। দিঘা রুটের ট্রাফিকের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আজ এই রুটে মোটামুটি সব বাস চলছে। বাস তুলে নেওয়ার সরকারি কোন নির্দেশিকা আসেনি। তবে কর্মী না এলে অনেক সময় কিছু বাস চালানো সম্ভব হয় না।’’
তৃণমূলের দলীয় সূত্রের খবর, এ বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের ২৫ বছর পূর্তি। বাড়তি যোগ হয়েছে গত ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। যার পরে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের বিষয়টিও উঠে এসেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। সে কারণে সমাবেশে বেশি সংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। ফলে বাসও বুকিং করা হয়েছে বেশি মাত্রায়।