কুয়াশায় গতি কমার ব্যাখ্যা

দেরি করে চলছে ট্রেন,  বাড়ছে ক্ষোভ

 কোনও ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের থেকে চার ঘণ্টা দেরিতে স্টেশনে পৌঁছচ্ছে, কোনও ট্রেন আবার চলছে তার থেকেও বেশি দেরিতে। স্টেশন থেকে ছাড়লেও অধিকাংশ ট্রেনই ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, কুয়াশার কারণে বিলম্ব হচ্ছে ট্রেন চলাচলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:১৬
Share:

দুর্ভোগ: কুয়াশার জন্য দেরিতে চলছে ট্রেন। খড়্গপুর স্টেশনে তাই অপেক্ষায় যাত্রীরা। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

কোনও ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের থেকে চার ঘণ্টা দেরিতে স্টেশনে পৌঁছচ্ছে, কোনও ট্রেন আবার চলছে তার থেকেও বেশি দেরিতে। স্টেশন থেকে ছাড়লেও অধিকাংশ ট্রেনই ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, কুয়াশার কারণে বিলম্ব হচ্ছে ট্রেন চলাচলে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, খড়্গপুর স্টেশনে নতুন ‘ইলেকট্রনিক্স রুট ইন্টারলকিং’ ব্যবস্থা চালুর পর থেকে গড় দেড়মাসই ট্রেন চলছে দেরিতে।

Advertisement

গত ৪ নভেম্বর থেকে টানা ১৬ দিন কাজের পর খড়্গপুরে চালু হয় রেলের নতুন ‘ইলেক্ট্রনিক্স রুট ইন্টারলকিং’ ব্যবস্থা। গত ২০ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার এসএন অগ্রবাল সাংবাদিক বৈঠক করে যাত্রীদের আশার কথাও শুনিয়েছিলেন। যা আশ্বস্ত করেছিল যাত্রীদেরও। তবে নতুন ব্যবস্থা চালুর পরেও দুর্ভোগ কাটেনি। খড়্গপুর-হাওড়া ডেইলি প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জয় দত্তর অভিযোগ, অবস্থার কিছুই বদল হয়নি। এখনও প্রতিটি ট্রেন দেরিতে চলছে। দূরপাল্লার ট্রেনগুলি মাত্রাতিরিক্ত দেরি করছে। ফলে প্রতিদিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এরপরে তাঁরা রেলের বিরুদ্ধে কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

যাত্রীদের অভিযোগ, ওডিশা, টাটানগর, আদ্রা ডিভিশনের ট্রেন প্রতিদিন দেরিতে খড়্গপুরে পৌঁছচ্ছে। রাজধানী, পুরুষোত্তম, জগন্নাথ, স্টিল, পুরুলিয়ার মতো এক্সপ্রেস ট্রেনও দেরিতে চলছে। সেই তুলনায় সময়ে চললেও গিরিময়দান থেকে খড়্গপুর ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে পড়ছে মেদিনীপুর-হাওড়া রুটের অধিকাংশ লোকাল ট্রেন। গত শুক্রবার গিরিময়দান থেকে বেলা ১২টা ৫মিনিটের হাওড়াগামী লোকাল ট্রেনে উঠেছিলেন গার্গী চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “গিরিময়দানে একেবারে সঠিক সময়ে এলেও খড়্গপুর স্টেশনে ঢোকার আগে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকল। এর কী কারণ বুঝতে পারলাম না!”

Advertisement

ট্রেন সময়ে না চলায় ভিড়ও বাড়ছে। ফলে এই শীতেও মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের চাপে সমস্যায় পড়ছেন প্রবীণ ব্যক্তিরা। ঘন কুয়াশার জেরেই ভোরের দিকে বিভিন্ন ট্রেন দেরিতে চলছে বলে দাবি করছেন রেল কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই একের পর এক ট্রেন আপ ও ডাউন লাইন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে।

খড়্গপুরের স্টেশন ডিরেক্টর সোনালি পাড়ুয়া বলছেন, “শীতকালে কুয়াশার জন্য ট্রেন দেরিতে চলছে।” একইভাবে খড়্গপুরে রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারির কথায়, “এখন লোকাল ট্রেন সময়েই চলছে। কিছু দূরপাল্লার ট্রেন ঘন কুয়াশার জন্য দেরিতে চলছে। একটি ট্রেন দেরিতে চলায় অন্য ট্রেনেও সেই প্রভাব পড়ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement