—ফাইল চিত্র
আশঙ্কা ছিল বাম, কংগ্রেস-সহ ১৬টি সংগঠনের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে ট্রেনে বিঘ্ন ঘটবে। প্রস্তুত ছিল রেল পুলিশও। অবশ্য বৃহস্পতিবার খড়্গপুর ডিভিশনে দূরপাল্লা থেকে লোকাল ট্রেন ছন্দেই চলল।
খড়্গপুর-হাওড়া ও মেদিনীপুর-হাওড়া শাখায় স্বাভাবিক গতিতে ছুটেছে লোকাল ট্রেন। ডিভিশনের সদর খড়্গপুরের মতো বড় স্টেশনে ধর্মঘট সফল করার চেষ্টাও দেখা যায়নি রেলের বামপন্থী সংগঠনগুলিকে। এই রুটের মধ্যবর্তী দু’-একটি স্টেশনে সামান্য সময়ের জন্য অবরোধ হলেও আরপিএফ ও রাজ্যের রেল পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। কোনও স্টেশনেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি দূরপাল্লার ট্রেনও। অবশ্য যাত্রীদের ভিড় কম ছিল। খড়্গপুরের স্টেশন মাস্টার দেবেন্দ্রকুমার পন্ডা বলেন, “সকাল থেকে স্বাভাবিক গতিতে যথাসময়ে ট্রেন চলেছে। ধর্মঘটের প্রভাব আমাদের ডিভিশনের হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় দেখা যায়নি।”
খড়্গপুর ডিভিশনের ডুঁয়া, উলুবেড়িয়া, সরডিহা, ঝাড়গ্রাম, জলেশ্বরের মতো ছোট স্টেশনগুলিতে সামান্য সময় অবরোধ হয়েছে। ভোরে কলকাতার চিৎপুরে গিয়ে ফের খড়্গপুরে ফিরে আসা শ্রীকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা ফল বিক্রেতা রথীশ সরকার বলেন, “উলুবেড়িয়ার দিকে কিছুক্ষণ ট্রেন দাঁড়ালেও সময়েই খড়্গপুরে পৌঁছলাম।” আমদাবাদ থেকে খড়্গপুরে পৌঁছনো বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুরজিৎ সিংহ বলেন, “আমার বাড়ি বাঁকুড়ায়। আমদাবাদ-হাওড়া স্পেশালে এসে খড়্গপুরে নামলাম। কোনও সমস্যা হয়নি। বাস নেই বলে দাদা বাঁকুড়া থেকে ভাড়া গাড়ি নিয়ে আসছে।” রাজ্যের রেল পুলিশের ডেপুটি সুপার শেখর রায় বলেন, “কয়েকটি স্টেশনে অবরোধ হলেও সঙ্গে-সঙ্গে তা তুলে দেওয়া হয়েছে।”
এআইটিইউসি-র জেলা সম্পাদক তথা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ঠিকাদার শ্রমিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব ভট্টের ব্যাখ্যা, “রেলের কর্মী সংগঠনগুলি ধর্মঘটকে সমর্থন জানালেও পথে নামেনি। তাছাড়া সবে ট্রেন চালু হওয়ায় দূরের যাত্রীদের আমরা বিপদে ফেলতে চাইনি। জোর করে ট্রেন আটকানো হয়নি। কিন্তু ফাঁকা ট্রেন চলেছে।” সিটু পরিচালিত রেল কন্ট্রাক্টর লেবার ইউনিয়নের সম্পাদক অনিল দাসও বলেন, “কিছু জায়গায় অবরোধ হলেও আমরা ট্রেন আটকাতে জোর দিইনি।”