দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সেই বাইক।
মোটর বাইক নিয়ে প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিং পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেল বাইক। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচলেন বাইক আরোহী। ধাক্কার চোটে ট্রেনের নীচে ঢুকে যায় বাইকটি। ওই অবস্থাতেই বেশ কিছুটা যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত থেমে যায় ট্রেনটি।
রবিবার সকালে হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় ভোগপুর স্টেশনের অদূরে ভোগপুর কেনারাম মেমোরিয়াল হাইস্কুলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ভোগপুর কেনারাম মেমোরিয়াল হাইস্কুলের সামনে প্রহরীবিহীন ওই লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে স্কুলের পড়ুয়া থেকে এলাকার মানুষজন যাতায়াত করেন। এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গায় একটি আন্ডারপাস নির্মাণের দাবি জানালেও তা পূরণ হয়নি। এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ হাওড়া থেকে খড়গপুরগামী একটি লোকাল ভোগপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় হঠাৎই সামনে চলে আসে একটি বাইক। বাইকে পেঁয়াজ বোঝাই করে সাগরবাড় থেকে ভোগপুর যাচ্ছিলেন ওই বাইক আরোহী। বিপদ বুঝে কোনওরকমে তিনি বাইক থেকে লাফ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন। কিন্তু বাইকটি ট্রেনের সামনে কাউ ক্যাচার ভেদ করে ঢুকে যায় ট্রেনের তলায়। ওই অবস্থায় বেশ কিছুটা ছুটে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয় ট্রেনের এয়ার পাইপ সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের। শেষ পর্যন্ত বিকট আওয়াজ করে থেমে যায় ট্রেন। যাত্রীদের নামিয়ে ট্রেনটি মেরামতির জন্য পাঠানো হয় টিকিয়াপাড়া শেডে।
রেলের দাবি, স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনের গতি অনেকটা কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সাদেক বলেন, ‘‘ভোগপুর ও সাগরবাড়ের মধ্যে যাতায়াতের প্রধান বাধা রেল লাইন। ওই জায়গায় একটি আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে রেলের কাছে আমরা আবেদন জানিয়ে আসছি। কিন্তু আজও তা হল না।’’
এই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর শাখার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কুলদিপ তিওয়ারি বলেন, ‘‘ওখানে আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য প্রস্তাব ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।’’