দিঘায় পর্যটকদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ গরমের ছুটি শুরু হচ্ছে আগামী ২ মে। তার আগে শনি এবং রবিবার সপ্তাহান্ত আর সোমবার মে দিবসের ছুটি। সব মিলিয়ে পর্যটকদের ভিড়ে উপচে পড়েছে সৈকত শহর দিঘায়। ওল্ড দিঘা থেকে শুরু করে নিউ দিঘা— সব হোটেলেরই শীতাতপ ঘর ভর্তি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। অগত্যা অনেকে এত গরমেও ‘নন এসি’ ঘর বুকিং করে দিঘা আসছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার থেকে হঠাৎ করে দিঘায় হাজির হয়েছেন পর্যটকেরা। আর তাঁরা শীতাতপ ঘর খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁদের একাংশ বিযোগ করছেন, ভিড় এবং গরমের সুযোগে বহু হোটলে বেশি দাম ঘরভাড়া চাওয়া হচ্ছে। গত বছর এই পর্যটকদের একাংশের অভিযোগ জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে ৪০০ টাকার ঘর ভাড়া দেওয়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এবার সাধারণ এসি ঘরের ভাড়া পৌঁছেছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়।
দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ইদের পর থেকেই আগাম বুকিং আসতে শুরু করেছিল। শুক্রবার বিকালের পর দিঘার অধিকাংশ হোটেল ‘হাউসফুল’। ওল্ড দিঘা বা নিউ দিঘার যে সব হোটেল সমুদ্র থেকে অনেকটা দূরে রয়েছে, সেখানেও এবার ঘর নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। ‘দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানে’র যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নববর্ষের পর থেকে সে রকম পর্যটকদের ভিড় ছিল না বললেই চলে। ইদের পর থেকে এ বছর কিছু কিছু হোটেল বুকিং হচ্ছিল। এ সপ্তাহে একটানা ছুটি এবং তারপরেই গরমের ছুটি শুরু হচ্ছে। তাই অনেকেই দিঘায় বেড়াতে আসছেন।’’
ঝাড়গ্রাম থেকে সপরিবারে বেড়াতে আশা এক পর্যটক বলছেন, ‘‘আগের মাসেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হবে। তাই ছেলের ইচ্ছেপূরণের জন্য দিঘা বেড়াতে এসেছি। কিন্তু হোটেলগুলিতে শীতাতপ ঘর ফাঁকা পেলাম না।’’ এদিকে,এত বেশি সংখ্যক পর্যটক দিঘায় এলে শীতাতপ ঘরের যোগান দেওয়াটাও সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক সংগঠনে’র অন্যতম কর্মকর্তা গিরিশচন্দ্র রাউত বলছেন, ‘‘দু-একদিন বৃষ্টির পর প্রচন্ড দাবদাহ চলছে দিঘায়। যাঁরা এই সময় বেড়াতে আসছেন, তাঁরা সকলেই শীতাতপ ঘর খুঁজছেন। গোটা দিঘাতেই প্রায় সব হোটেলের এসি রুম বুকিং হয়ে গিয়েছে।’’