আজ প্রথম বৈঠকে নতুন জেলা তৃণমূল সভাপতি

নতুন জেলা সভাপতি ঠিক করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সংগঠন গোছাতে আসরে নামছেন পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। সেই লক্ষ্যেই আজ, রবিবার বৈঠক ডাকা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৬ ০৬:৫৫
Share:

নতুন জেলা সভাপতি ঠিক করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সংগঠন গোছাতে আসরে নামছেন পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। সেই লক্ষ্যেই আজ, রবিবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। জেলা ও ব্লক স্তরের নেতৃত্বের পাশাপাশি পঞ্চায়েত স্তরের নেতা, এমনকী সব শাখা সংগঠনের নেতৃত্বকেও সেখানে ডাকা হয়েছে।

Advertisement

জেলা সভাপতি হওয়ার পরে এটাই অজিতবাবুর প্রথম দলীয় বৈঠক। তবে জেলা কমিটি তৈরি না করেই হচ্ছে বৈঠক। এ প্রসঙ্গে অজিতবাবুর বক্তব্য, “সকলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরিচয় করতেই বৈঠক।”

যদিও তৃণমূল সূত্রের খবর, শুধু পরিচয় নয়। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জেলার সংগঠন কোন পথে চলবে তার দিক নির্দেশ করবেন জেলা সভাপতি। সকলকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলবে না। একটি কমিটিতে একজনই থাকবেন প্রধান। বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি চলবেন। কিন্তু কেউ নেতা ধরে তাঁর সমান্তরাল সংগঠন চালাতে চাইলে দল বরদাস্ত করবে না।

Advertisement

কলকাতার কর্মশালায় দলনেত্রী মমতা নতুন জেলা সভাপতির নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ১৫ দিনের মধ্যে জেলা কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কমিটি এখনও তৈরি করা যায়নি বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে ১২ জুলাই জেলায় আসার কথা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর। তিনি মেদিনীপুর, খড়্গপুর ও ঘাটালে কর্মিসভা করবেন। তখনই জেলা কমিটি ঘোষণা হতে পারে বলে অনুমান। আবার অন্য একটি সূত্রের মতে, ২১ জুলাইয়ের পরই নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হবে।

এত দেরি কেন? দলীয় সূত্রের খবর, আগে দলে চারজন কার্যকরী সভাপতি ও একজন চেয়ারম্যান ছিলেন। কলকাতায় দলনেত্রী নতুন জেলা সভাপতির নাম ঘোষনার পাশাপাশি দু’জন কার্যকরী সভাপতির নাম উল্লেখ করেছিলেন, নির্মল ঘোষ ও আশিস চক্রবর্তী। তখনই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি কার্যকরী সভাপতির পদ থেকে বাদ গেলেন প্রদ্যোত্ ঘোষ ও শ্যামপদ পাত্র। যদিও প্রদ্যোতবাবুকে আবার কার্যকরী সভাপতি করতে দলের একাংশ জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে প্রাক্তন জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের ঘনিষ্ট প্রদ্যোতকে আটকাতে অন্য কোনও জাঁদরেল নেতাকে কার্যকরী সভাপতি করা যায় সে চেষ্টাও চালাচ্ছেন অন্যরা। আবার দীনেন রায় অনুগামীরা চাইছেন, চেরাম্যান পদে দীনেনবাবুই থাকুন। সেটা আটকাতেও তৎপর অন্যপক্ষ। এ ছাড়া, জেলা কমিটিতে কারা থাকবেন, সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদক পদে বা কাদের রাখা হবে, তা নিয়ে টানাপড়েন চলছে।

সে সব মিটিয়ে কমিটি গড়তে দেরি হচ্ছে। তার আগে দলের বার্তা পৌঁছে দিতে আজ, রবিবার জেলার সব নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বলছেন নতুন জেলা সভাপতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement