সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবেই চলছে বাড়ি বাড়ি কার্ড (ইনসেটে) বিলি। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি তাঁর দল। তবে তিনি শুনেছেন সম্ভাব্য তালিকায় নাম থাকতে পারে। তাই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। রীতিমতো কার্ড ছাপিয়ে তেলুগু সমাজের নববর্ষ ‘উগাদি’র শুভেচ্ছাবার্তা বিলি করলেন প্রদীপ সরকার ওরফে খোকন।
শুক্রবার গিয়েছে তেলুগু নববর্ষ। আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি শাসক দল। তাই খড়্গপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে এই কার্ড বিলি করা হয়েছে বৃহস্পতিবারই। তবে খোকনবাবু আদৌ প্রার্থী হবেন কিনা তা নিয়ে এখনও নিঃসংশয় নন তিনি নিজেও। বলেন, “এই পুর-নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় আমার নাম রয়েছে বলে শুনেছি। তাই এলাকায় নিজের সঙ্গে দলের একটা জনসংযোগ তৈরির চেষ্টা করছি। এতে পরিচিতির কাজটা এগিয়ে থাকবে।”
বহু ভাষাভাষীর বাস রেল শহর খড়্গপুরে। তারমধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ তেলুগু। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, তেলুগু জনসংখ্যা বেশি এমন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিংহ ময়দান, ১নম্বর রেল কলোনী এলাকা, কাঠালঝাড়, ২ নম্বর রেল কলোনী এলাকা জুড়ে এই কার্ড বিলি করা হয়েছে। প্রেরক হিসেবে নাম রয়েছে প্রদীপকুমার সরকারে। কার্ডের একপাশে রয়েছে মততা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যপাশে তাঁর নিজের ছবি। মাঝখানে শুভেচ্ছা বার্তা আর শেষে তৃণমূলের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির নাম। ছোট্ট করে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে বাংলা নববর্ষের কথাও। খোকনবাবুর দাবি, “রেল এলাকায় তেলুগুদের বসবাস বেশি। তবে শুধু তেলুগু নয়, বাঙালি পরিবারেও ওই কার্ড দিয়েছি।” কারণ কোন বাড়িতে কোন প্রদেশের মানুষ থাকেন তা তো জানা নেই। তাই কার্ডে ছোট্ট করে আগাম বাংলা নববর্ষের কথারও উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫০০ কার্ড ছাপানো হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যেই প্রায় ১২০০ পরিবারে ওই কার্ড বিলি করা হয়ে গিয়েছে। তবে একে ভোট প্রচার বলে মানতে রাজি নয় তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকেই তেলুগু নববর্ষের শুভেচ্ছা দেওয়া হচ্ছে বলে তাদের দাবি।
শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “এটা নতুন কিছু নয়। দলের অনেকেই বিভিন্ন প্রদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা দিয়ে থাকেন। আমাদের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা এই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।”
১৮ মার্চ রাজ্যের ৯৩টি পুরসভার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি কোনও রাজনৈতিক দলই। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, সব দলেই রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তার ফলেই এখনও কেউ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে উঠতে পারেনি। তৃণমূল, বিজেপি ও বামফ্রন্ট সকলেরই এক অবস্থা। কংগ্রেস অবশ্য প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত বলে দাবি করছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি তারাও। যদিও বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে প্রার্থীর সঙ্গে পরিচিতি বা বাড়ি বাড়িতে প্রচার চলছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।