—ফাইল চিত্র।
দলবদলুদের ঘরে ফিরিয়ে দু’মাসেই গড়বেতা ২ অর্থাৎ গোয়ালতোড় ব্লকের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত পুনর্দখল করল তৃণমূল।
গত জুনের গোড়ায় পিয়াশালা ও জোগারডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকজন তৃণমূল সদস্য বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। ফলে দু’টি পঞ্চায়েতেই সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে তৃণমূল। বিজেপিতে চলে যাওয়া সেইসব সদস্যেরা ফের তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। বিজেপির অবশ্য দাবি, ভয় দেখিয়ে তাঁদের ফের দলে টেনেছে তৃণমূল।
পিয়াশালা ও জোগারডাঙা এই দু’টি পঞ্চায়েতই গড়বেতা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পিয়াশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে ১০টিতে জিতে বোর্ড দখল করেছিল তৃণমূল। ৪টি পায় বিজেপি। এবার লোকসভা ভোটের পরে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী ৪ জন মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন। দু’মাসেই ভোলবদল। তৃণমূলের গোয়ালতোড় ব্লকের সভাপতি ভাস্কর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘পিয়াশালা অঞ্চলের আমাদের যে ৪ জন বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা ফের তৃণমূলে এসেছেন। ফলে পিয়াশালা আমাদেরই রইল।’’ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে পিয়াশালার হুমগড়ে তৃণমূলের মিছিলে এসে এই ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।
লোকসভা ভোটের পরে গত পঞ্চায়েত ভোটে ১০-০ ব্যবধানে জোগারডাঙা পঞ্চায়েত দখল করেছিল তৃণমূল। ৮ জন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬ জন শুক্রবার মেদিনীপুরের সমাবেশে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ফের তৃণমূলে ফিরেছেন। গোয়ালতোড় ব্লক যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি গণেশ দত্ত বলেন, ‘‘জোগারডাঙা অঞ্চলের উপপ্রধান নসিব চৌধুরীর নেতৃত্বে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে এসেছেন।’’ নসিবের কথায়, ‘‘শুক্রবার মেদিনীপুরের তৃণমূলের সমাবেশে গিয়ে আমরা ৬ জন পুরনো দলেই ফিরে এসেছি।’’
গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি ভয় দেখিয়ে পিয়াশালা ও জোগারডাঙা পঞ্চায়েতে আমাদের কয়েকজন সদস্যকে দলে টেনেছিল। তাঁদের মধ্যে পিয়াশালার ৪ জন আর জোগারডাঙার ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য ফের তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন বিজেপির গোয়ালতোড় উত্তর মণ্ডলের সভাপতি উজ্জ্বল হাঁটুই। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপিতে তাঁরা নিজের ইচ্ছেতেই এসেছিলেন। তাঁদের ভয় দেখিয়ে দলে টানছে তৃণমূল।’’