গোষ্ঠীকোন্দলে সবংয়ে বন্ধ তৃণমূলের কার্যালয়

দলের অঞ্চল সভাপতি নির্বাচন ঘিরেই বিবাদের সূত্রপাত। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রকাশ মাইতিকে দলের নতুন অঞ্চল সভাপতি বলে দাবি করে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর লোকেরা ওই কার্যালয় দখল করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে বন্ধ হয়ে গেল দলীয় কার্যালয়। সোমবার রাতে সবংয়ের ভেমুয়ায় তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ের ঘটনা।

Advertisement

দলের অঞ্চল সভাপতি নির্বাচন ঘিরেই বিবাদের সূত্রপাত। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রকাশ মাইতিকে দলের নতুন অঞ্চল সভাপতি বলে দাবি করে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর লোকেরা ওই কার্যালয় দখল করে। এই ঘটনায় সরব হন দলের আগের অঞ্চল সভাপতি কার্তিক দাস। এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালে আসে পুলিশ।

গত বছর মানস ভুঁইয়া, অমল পণ্ডা-সহ একঝাঁক কংগ্রেস নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে গোষ্ঠীকোন্দল। দলের এক সূত্রে খবর, এতদিন তৃণমূলের ভেমুয়া অঞ্চলের সভাপতি ছিলেন কার্তিকবাবু। কার্তিকবাবুর সঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা কর্মীদের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকায় দলের পুরনো কর্মীদের একাংশের অসন্তোষ বাড়ে। মাস খানেক আগে ওই এলাকার একাংশ পুরনো কর্মীর চাপে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি বৈঠক ডেকে দলের অঞ্চল সভাপতি হিসাবে প্রকাশ মাইতির নাম ঘোষণা করেন। এই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিলই।

Advertisement

অভিযোগ, সোমবার রাতে কার্তিকবাবুরা তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয় থেকে বেরনোর পরেই ওই কার্যালয়ে কর্মী-সমর্থক নিয়ে ঢুকে পড়েন প্রকাশবাবুরা। এই নিয়ে কার্তিকবাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে প্রকাশবাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিতদের বিরোধ দেখা যায়। কার্তিকবাবুর অনুগামীদের দাবি, দলের ওই কার্যালয় জোর করে দখল করছে প্রকাশবাবুরা। যদিও প্রকাশবাবুর অনুগামীদের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি হিসেবে তাঁরা ওই কার্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। দু’পক্ষের বিবাদের জেরে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় পুলিশ এসে কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

তৃণমূলের সবং ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি বলেন, “এলাকার কর্মীদের দাবি মতো সকলকে নিয়ে বৈঠক ডেকে প্রকাশবাবুকে দলের ওই অঞ্চলের সভাপতি করা হয়েছে। সেই মতো ওই দিন রাতে দলের কার্যালয়ে প্রকাশ মাইতিরা গিয়েছিলেন। তাই দলের নতুন কর্মীদের নিয়ে কার্তিক অশান্তি করেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কোনও অশান্তিতে না জড়িয়ে দলের কার্যালয়ে তালা দিয়ে পুলিশকে চাবি দিয়ে দেওয়ার কথা প্রকাশদের বলেছিলাম। সেই মতো কাজ হয়েছে।’’

যদিও এ নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলে নতুন আসা কর্মী-সমর্থকদের কোনও যোগ নেই। দলের পুরনো কর্মীদের মধ্যেই গোলমাল হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি জানি ভেমুয়ার দীর্ঘদিনের অঞ্চল সভাপতি কার্তিক দাস। এর বেশি কিছু জানা নেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement