নওশাদ সিদ্দিকির সভার পাল্টা মহামিছিল করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সভার পাল্টা মহামিছিল করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। ইদ কাটলেই দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ওই মিছিল করবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে তৃণমূলে থেকেও নওশাদের সভায় লোক ভরাতে দলের কাদের ইন্ধন ছিল, কারা সভাস্থলের কাছাকাছি ছিলেন, তাদের তালিকা তৈরির কাজও শুরু করেছে শাসকদল।
পঞ্চায়েত ভোট এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষা। রাজনৈতিক দলগুলিও প্রচার-সহ ভোট প্রস্তুতিতে মাঠে নেমে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বছরের প্রথম দিনে সংখ্যালঘু প্রধান চন্দ্রকোনার কৃষ্ণপুরে নওশাদ সিদ্দিকির সভা তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটেবাক্সে ফাটল ধরাতেই আইএসএফ ওই সভার আয়োজন করেছিল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তাছাড়া আইএসএফের সংগঠন কৃষ্ণপুরের মতো সংখ্যালঘু এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে। তার উপর ওই সভাকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের অনেকেই প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিল বলে খবর। সভা মিটতেই তাই দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের কারা সভার কাজে যুক্ত ছিলেন সেই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘‘তৃণমূলে থেকেও কারা কোন সভায় যাচ্ছেন, তার খবর দলের কাছে আছে। ঠিক সময়ে দল পদক্ষেপ করবে।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, কৃষ্ণপুরে এই মুহূর্তে দলের দুটি গোষ্ঠী খুব সক্রিয়। একদিকে কৃষ্ণপুর অঞ্চল আহ্বায়ক আশানুল্লা মণ্ডলের গোষ্ঠী। অন্যপক্ষে রয়েছে কৃষ্ণপুর অঞ্চল সভাপতি আরমান আলি এবং স্থানীয় উপপ্রধান ইকবাল সরকারের অনুগামীরা। নওশাদের সভায় এক গোষ্ঠীর সরাসরি যোগ ছিল বলে দলীয় সূত্রের খবর। ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটের ফাটল রুখতে তৎপর হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল সূত্রে দাবি, কৃষ্ণপুরে দলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রয়েছে। ভোটের সময় কৃষ্ণপুরে বড় সভা হবে। আর এখন হবে মহামিছিল। কৃষ্ণপুর অঞ্চলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়েই হবে ওই মিছিল। বাইরের কোনও কর্মী বা নেতারা সেখানে যাবেন না। জেলা নেতৃত্ব থাকবেন না। ব্লক নেতৃত্বকে নিয়েই হবে মিছিল। চন্দ্রকোনার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলেন, “এখনই কৃষ্ণপুরে কোনও সভা হবে না। স্থানীয় কর্মীরা একটা মিছিল করবে। ইদ কাটলেই মিছিলের আয়োজন করা হবে।”