চন্দ্রকোনা রোডে গ্রেফতার ৯

ভোট মিটতেই সংঘর্ষে জড়াল বাম-তৃণমূল, জখম দু’পক্ষের ৭

ভোট মিটে যাওয়ার পরই সংঘর্ষে জড়াল সিপিএম ও তৃণমূল। মঙ্গলবার সকালেই শালবনি বিধানসভার অন্তর্গত চন্দ্রকোনা রোডের শুকনাতোড় এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এক মহিলা-সহ জখম হয়েছেন সাতজন। আহতদের মধ্যে চারজন দ্বারিগেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনায় দু’পক্ষেরই ন’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৬ ০১:২৩
Share:

শুকনাতোড় গ্রামে পুলিশি টহল। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।

ভোট মিটে যাওয়ার পরই সংঘর্ষে জড়াল সিপিএম ও তৃণমূল। মঙ্গলবার সকালেই শালবনি বিধানসভার অন্তর্গত চন্দ্রকোনা রোডের শুকনাতোড় এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এক মহিলা-সহ জখম হয়েছেন সাতজন। আহতদের মধ্যে চারজন দ্বারিগেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনায় দু’পক্ষেরই ন’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার ভোট দিতে যাওয়া ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত। মঙ্গলবার সকালে কাজে বেরিয়েছিলেন রফিক পাঠান ও জিয়াউর খান। সিপিএমের চন্দ্রকোনা রোড জোনাল কমিটির সম্পাদক স্বপন বারিকের অভিযোগ, রফিক ও জিয়াউর দু’জনই সিপিএমের কট্টর সমর্থক। রবিবার রাতে তৃণমূল ওই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে ভোট না দিতে যাওয়ার ফতোয়া দিয়েছিল। ওই দুই কর্মী প্রতিবাদ করেন। সাহস পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তাই মঙ্গলবার ওই দুই’সমর্থককে লাঠি দিয়ে মারধোর করে তৃণমূলের লোকজন। স্বপনবাবুর অভিযোগ, “সোমবার রাত থেকেই বিধানসভা এলাকার একাধিক দলীয় এজেন্টদের হুমকি, মারধর শুরু করে তৃণমূল। এমনকী, বনকাটা এলাকায় এক এজেন্টকে বয়কট করার ফতোয়াও দিয়েছে তৃণমূলের বাহিনী। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।”

মঙ্গলবার সকালে আচমকাই স্থানীয় তৃণমূল নেতা পাপ্পু পাঠানের নেতৃত্বে গ্রামের দুই বাসিন্দাকে মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি চাউর হতেই এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশই আহত দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। স্থানীয় সিপিএম কর্মী মহসিন পাঠান তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সিপিএমের অভিযোগ,গ্রা ম ছেড়ে গাড়িটি গ্রাম সংলগ্ন রাঙামাটির কাছে আসতেই ফের তৃণমূলের লোকজন গাড়ি থামিয়ে মহসিন পাঠানকেও মারধর করে। ঘটনাটি গ্রামে রটে যেতেই পুলিশের সামনেই ফের মারপিট শুরু হয়ে যায়। ততক্ষনে দু’পক্ষের লোকই জমায়েত হয়ে যায়। একে অপরকে দেখে ইট ছুঁড়তে শুরু করে। এক মহিলা সমর্থক আহত হওয়ার পরই উত্তেজনা বেড়ে যায়।

Advertisement

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল প্রার্থী শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “এলাকায় শান্তি রয়েছে। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটেনি। সব মিথ্যা অভিযোগ।’’ উল্টে তাঁর অভিযোগ, শুকনাতোড়ে তৃণমূলের এক মহিলা সমর্থক-সহ চারজনকে মারধর করেছে সিপিএম। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। জেলার পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহলও চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement