উপ-পুরপ্রধানের শপথ গ্রহণ
উপ-পুরপ্রধানের শপথে গরহাজির একাংশ কাউন্সিলর। অস্বস্তিতে দলীয় নেতৃত্ব।
শুক্রবার খড়্গপুর পুরসভার সভাগৃহে শপথ গ্রহণ করেন উপ-পুরপ্রধান শেখ হানিফ। যদিও এখনও পূর্ণাঙ্গ পুরবোর্ড গঠন হয়নি। পুর-পারিষদ নির্বাচন নিয়ে দলে কোন্দল অব্যাহত। তৃণমূল সূত্রে খবর, পুর-পারিষদ নির্বাচনেও দলে নতুন আসা কাউন্সিলরদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে দলের একাংশ কাউন্সিলর অনুপস্থিত থাকায় অস্বস্তি আরও বাড়ল দলের জেলা নেতৃত্বের।
পুরভোটে ৩৫টি আসনবিশিষ্ট খড়্গপুর পুরসভায় ১১টি আসন পায় তৃণমূল। যদিও বিরোধী কাউন্সিলরদের দলে টেনে শেষ পর্যন্ত পুরবোর্ড দখল করে ঘাসফুল শিবিরই। এ দিন এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার উপ-পুরপ্রধান শেখ হানিফকে শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে শহরের ৩৫ জন কাউন্সিলরকে ডাকা হয়েছিল বলে দাবি পুর-কর্তৃপক্ষের। যদিও এ দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না লক্ষ্মী মুর্মু, পূজা নায়ডু, সুনীতা গুপ্ত ও জগদম্বাপ্রসাদ গুপ্তার মতো বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা কাউন্সিলররা। দেখা যায়নি বেলারানি অধিকারী, শর্মিষ্ঠা সিংহদের মতো কাউন্সিলরদেরও। আসেননি দলের আরও পাঁচ কাউন্সিলর।
এ দিন অনুষ্ঠানে ছিলেন শেখ হানিফের ভাই পাঁচবেড়িয়ার বাসিন্দা শেখ সাইজাদও। এক চিটফান্ড সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর সাইজাদের নামে পুলিশে অনেকগুলি প্রতারণার মামলা রয়েছে। সিপিআই নেতা বিপ্লব ভট্টের কটাক্ষ, “তৃণমূলে এখন সাইজাদের মতো বহু চিটফান্ড কর্তা ঢুকে বসে রয়েছে।” যদিও উপ-পুরপ্রধান শেখ হানিফ বলেন, “ওই চিটফান্ড সংস্থায় সাইজাদ এক জন এজেন্ট ছিল বলে জানি। পুলিশের চোখে তিনি অপরাধী হলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলব। তবে তাঁকে আমি এখানে ডাকিনি আর দেখতেও পাইনি।” পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারেরও বক্তব্য, “সব কাউন্সিলরকে ডেকেছিলাম। কিন্তু অনেকে আসেননি। আমাদের কয়েকজন কাউন্সিলর বাইরে রয়েছেন। তাই তাঁরা আসতে পারেননি।”
পুরবোর্ড গঠন প্রসঙ্গে প্রদীপবাবু বলেন, “পুর-পারিষদ নির্বাচনে দল নতুন-পুরনো সকলকে সম্মান দিতে চাইছে। তাই একটু সময় লাগছে।” তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলে সদ্য আসা জগদম্বাপ্রসাদ গুপ্ত, পূজা নায়ডু, বেলারানি অধিকারী ও দলের তুষার চৌধুরী, রীতা সেনগুপ্তর মতো কাউন্সিলরদের পুর-পারিষদ পদে রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। গত বুধবার তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব কলকাতায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকও করেছিলেন। তবে পুর-পারিষদদের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই খবর। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “পুর-পারিষদ বাছাইয়ের বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব দেখছেন। নতুন-পুরনো সকলকে নিয়েই পূর্ণাঙ্গ পুরবোর্ড গঠন হবে।”