২১ জুলাই, কর্মীদের সঙ্গেই বাসে যাওয়ার নির্দেশ নেতাদের            

দলীয় সূত্রে খবর, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ঘিরে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা যে ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, এবার সেখানে উৎসাহ কিছুটা কম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০২:১৯
Share:

একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। ব্লক ও অঞ্চলস্তরে একইভাবে সভা, মিছিলের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সমাবেশের প্রচারের জন্য পোষ্টার, ব্যানার দেওয়া, তোরণ তৈরিও শুরু হয়ে গিয়েছে। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যাওয়ার জন্য বাস-সহ বিভিন্ন গাড়ি ভাড়া নেওয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement

দলীয় সূত্রে খবর, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ঘিরে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা যে ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, এবার সেখানে উৎসাহ কিছুটা কম। লোকসভা নির্বাচনে দলের আশানুরূপ ফল না হওয়ার জেরেই এমন পরিস্থিতি বলে দলেরই একাংশ সূত্রের খবর। তবে দলের শক্তঘাঁটি জেলার তমলুক ও কাঁথি, দুই লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল জিতেছে। তাই ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে এই জেলা থেকে যত বেশি সম্ভব দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে জনসংযোগ যাত্রা করা হচ্ছে জেলার প্রতিটি ব্লকে। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি তমলুকে গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি অঞ্চল থেকে ২টি ও শহরাঞ্চলের প্রতি ওয়ার্ড থেকে ১ টি করে বাসে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা তৃণমূলের বৈঠকে ব্লক, অঞ্চল নেতৃত্ব, পঞ্চায়েত ও পুরসভা প্রতিনিধিদের ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে কর্মী-সমর্থকদের সাথে বাসে সমাবেশে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

হঠাৎ এ ধরনের পরামর্শ কেন?

তৃণমূলের ব্লক নেতাদের একাংশ জানান, কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় নেতারা দলের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যাওয়ার জন্য বাসের ব্যবস্থা করলেও নিজেরা ব্যক্তিগত গাড়ি বা গাড়ি ভাড়া করে সমাবেশে যেতেন। এতে কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছিল। অনেক ক্ষেত্রে নেতাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।

শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল আহবায়ক শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে একই বাসে সমাবেশে যাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতি অঞ্চলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ব্লক, অঞ্চল নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা বাসে সমাবেশে যাবেন।’’ নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম-১, ২ ব্লকের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যেতে মোট ৪০ টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। অন্য বছর দলীয় নেতৃত্বের একাংশ ব্যক্তিগত গাড়িতে যেতেন ঠিকই। তবে এ বার ব্লকের সব নেতারা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বাসেই সমাবেশে যাবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement