তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে একটি দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল।
রবিবার সকালে খড়্গপুর গ্রামীণের লছমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটাচক গ্রামের ঘটনা। প্রথমে গ্রামের একটি জমি দখলকে কেন্দ্র করে গোলমাল দেখা দেয়। এরপরে ভাঙচুর হয় দোকান। এছাড়াও বাড়িতে হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি শেখ মনিরুদ্দিন ও বুথ কর্মী বাহারুল ইসলামের গোষ্ঠীর বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে বিষয়টিকে গ্রাম্য বিবাদ বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত গ্রামের ২০ডে সিমেল জমি নিয়ে। বাম জমানায় এই জমিটির পাট্টা পান সৈয়দ আশাবুল হুসেন। পরে আশাবুল সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই গ্রামের ওই জমি নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। জমির পাট্টা তাঁর নামে আছে দাবি করে আশাবুল আইনি লড়াই শুরু করে। তৃণমূল কর্মী সৈয়দ আশাবুল হুসেন বলেন, “বাম জমানায় আমি ওই জমির পাট্টা পেয়েছিলাম। আমার কাছে তাঁর যথাযথ নথি রয়েছে। কিন্তু জোর করে বাহারুল ইসলাম আমার জমি দখল করে দোকান বসাতে চেয়ে অশান্তি করছে।’’ দলের কর্মী আশাবুলের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল প্রাক্তন বুথ সভাপতি শেখ মনিরুদ্দিন। এই নিয়ে মনিরুদ্দিন ও বাহারুলের গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়।
মাস কয়েক আগে আশাবুলের পাশে দাঁড়ায় শাজাহান বেগ নামে এলাকারই আর এক ব্যক্তি। এর পরেই শাজাহানের খাবারের দোকানের মধ্যে থাকা পঞ্চায়েতের একটি টিউবওয়েল নিয়েও প্রশ্ন তোলে বাহারুল অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েতের জমির ওপর দোকান করেছে শাজাহান। তাই ওই দোকান সরিয়ে নিতে হবে দাবি করে এ দিন বাহারুলের নেতৃত্বে একটি মিছিল সংগঠিত হয় ওই এলাকায়। এর পরেই দোকানে ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। শাজাহান বেগের কথায়, “অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় বাহারুল ইসলাম আমাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। আমাদের রায়ত জমির ওপরে দোকান। বছর পঁচিশ আগে পঞ্চায়েতের টিউবওয়েল আমাদের জমিতে বসেছিল। এখন বাহারুলের নেতৃত্বে টিউবওয়েলের নামে আমার দোকান ভাঙচুর হল। ওঁরা আমার স্ত্রীকে ও আমাকে মারধর করেছে।”
বুথ কর্মী বাহারুল ইসলাম বলেন, “আশাবুল নিজেই ওই ২ ০জনকে দোকান করার অনুমতি দিয়েছিল। এখন অস্বীকার করছে। আর পঞ্চায়েতের টিউবওয়েলের ওপর দোকান করায় নিয়ে শাজাহানের সঙ্গে শুধু কথা বলতে যাওয়া হয়েছিল। এখন নিজেরা দোকান ভাঙচুর করে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।” আর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তৃষিত মাইতি বলেন, “একটি টিউবওয়েল নিয়ে গ্রাম্য বিবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। এর মধ্যে গোষ্ঠীবিবাদ কোথায়?’’