তৃণমূলের উদ্যোগে ‘ইন্ডিয়া জোট’ ফুটবল প্রতিযোগিতা। চন্দ্রকোনা রোডে। —নিজস্ব চিত্র।
এ বার খেলার মাঠেও 'ইন্ডিয়া জোট'। সোমবার থেকে চন্দ্রকোনা রোডে শুরু হয়েছে ১৬টি দলকে নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা, নাম— 'ইন্ডিয়া জোট ধামাকা ২০২৩'। এর আয়োজক তৃণমূলেরই স্থানীয় নেতৃত্ব।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে গড়ে তুলেছে ইন্ডিয়া জোট। সেখানে অন্যতম ভূমিকায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই জোটকে শক্তিশালী করতে তারা উদ্যোগীও হয়েছে। প্রচার চালানো হচ্ছে নানা ভাবে। খেলার মাঠেও সেই প্রচারের লক্ষ্যেই এমন আয়োজন।
'ইন্ডিয়া জোট' ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা তৃণমূলের মেটাডহর পশ্চিম বুথ কমিটি। সহযোগিতায় স্থানীয় ইয়ংস্টার ক্লাব। মেটাডহর পশ্চিম ফুটবল ময়দানে সোমবার সকালে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মোট ১৬টি দল নক আউট পদ্ধতিতে খেলবে। বুধবার বিকেলে ফাইনাল। প্রথম দিন খেলা দেখতে প্রচুর ভিড় জমে। সমাজমাধ্যমেও খেলা 'লাইভ' দেখানোর ব্যবস্থা করেছেন উদ্যোক্তারা। প্রতিযোগিতার মোট পুরস্কার মূল্য ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। চ্যাম্পিয়ন, রানার্স ছাড়াও থাকছে সেরা খেলোয়াড়দেরও পুরস্কার।
এ দিন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে ছিলেন চন্দ্রকোনা রোডের একঝাঁক তৃণমূল নেতা। প্রবীণ নেতা নিমাইরতন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে প্রতিযোগিতার সূচনা হয়। চন্দ্রকোনা রোডের বাসিন্দা দলের জেলা নেতা রাজীব ঘোষ রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনেই বলেন, "বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে দেশের ২২টি দল মিলে যেমন ইন্ডিয়া জোট করেছে, সেই জোটে নেতৃত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। সেই জোটের প্রচারে গ্রামে গ্রামে নেমেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ফুটবলের আসরেও সেই জোটের নাম আনা হয়েছে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে জোটের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরতে।" তৃণমূলের মেটাডহর পশ্চিম বুথের সভাপতি হামিদ খানও বলছেন, "ইন্ডিয়া জোটই পারে বিজেপির মতো বিপজ্জনক দলকে হারাতে, এটা মানুষও বুঝতে পারছেন। সেই নামে ফুটবল ধামাকা করে মানুষের কাছে এই জোটকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে চাই।" তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির প্রত্য, "চব্বিশে এই জোটই ক্ষমতায় আসবে।"
বিজেপির চন্দ্রকোনা রোডের নেতা গৌতম কৌড়ি অবশ্য খোঁচা দিয়ে বলছেন, "মানুষের সাড়া না পেয়ে এখন খেলার নামেও জোটের কথা প্রচার করতে হচ্ছে তৃণমূলকে। এই জোট চব্বিশের ভোটে মুখ থুবড়ে পড়বে।"