কলকাতার সভায় বেশি সংখ্যক লোক নিয়ে যেতে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। বসে নেই তৃণমূল ও বামেরাও। বিজেপির সভায় কত লোক যাচ্ছেন তার খোঁজ নিতে শুরু করেছে তারাও।
কাল, বুধবার কলকাতায় বিজেপির সভা। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই সভা হচ্ছে। থাকার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের। তাই সভা সফলের জন্য বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে ঝাঁপিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। অঞ্চল ও মণ্ডল স্তরে চলছে জোর প্রস্তুতি। গড়বেতার তিনটি ব্লকেও দেখা যাচ্ছে তৎপরতা। বাস, গাড়ি ভাড়া করে ওই সভায় যাওয়ার তোড়জোড় করছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
গড়বেতা ও শালবনি বিধানসভা এলাকা ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সেই হিসেবে গড়বেতার তিনটি ব্লক ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলার অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলা থেকে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে কলকাতার সভায় নিয়ে যাওয়ার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি নেতৃত্ব গড়বেতার তিনটি ব্লকের কার্যকর্তাদের সঙ্গে এই নিয়ে যোগাযোগ রেখে চলছেন। বুথ স্তর থেকে লোক নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করছেন বিজেপি কর্মীরা। একাধিক মণ্ডল কমিটি বাস ভাড়া করে নিয়েছে।
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে বিজেপি কোন এলাকা থেকে কত লোক কলকাতার সভায় নিয়ে যাচ্ছে, তার খোঁজখবর নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। চন্দ্রকোনা রোড ব্লকের তৃণমূলের সহ সভাপতি জ্ঞানাঞ্জন মণ্ডল মানছেন, "বিজেপির সভায় কত লোক যাচ্ছে তা বিভিন্ন এলাকা থেকে খবর নিচ্ছি। নজর রাখতে বলেছি কর্মীদের।" গড়বেতা ১ ব্লকের সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, "বিজেপির লোক কোথায়? গড়বেতা থেকে ওরা বেশি লোক নিয়ে যেতে পারবে না। তবুও ওঁরা বিভ্রান্ত করতে পারে মানুষকে। আমরা খবর নিচ্ছি।"
গেরুয়া সভার দিকে লক্ষ্য রাখছে বামেরাও। গড়বেতার নেতা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তপন ঘোষের কথায়, ‘‘যা খবর পাচ্ছি, বিজেপি এইসব এলাকা থেকে বেশি লোক নিয়ে যেতে পারবে না।" চন্দ্রকোনা রোডের এক সিপিএম নেতার দাবি, ‘‘মানুষ বুঝে গিয়েছেন যাহাই তৃণমূল, তাহাই বিজেপি। তাই ওঁদের কোনও সভাতেই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ হবে না।’’
বিজেপি অবশ্য এসবে কান দিচ্ছে না। বিজেপির গড়বেতা ও শালবনি বিধানসভা কমিটির দুই আহ্বায়ক তারাচাঁদ দত্ত ও রঘুনাথ মান্নার দাবি, "তৃণমূল ও বাম— উভয়েই আমাদের ভয় পাচ্ছে। তাই নজর রাখছে। গড়বেতা ও শালবনি বিধানসভা এলাকা থেকে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ কলকাতার সভায় যাবেন।’’