বাড়ির চিলেকোঠায় দেওয়াল মাজার কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক ও বাড়ির সামনে নলকূপে স্নান করা ওই বাড়ির এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে তমলুক শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বিশ্বজিৎ প্রামাণিক (২২ ) তমলুক শহরের অদূরে বহিচাড় গ্রামের বাসিন্দা। আহত গোবিন্দ জানা, প্রসেনজিৎ জানা নামে বাকি দুই শ্রমিক ও বাড়ির মালিকের ছেলে কল্যাণ চক্রবর্তী তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী তমলুক শহরের একটি দোকানে কর্মী হিসেবে কাজ করেন। সুব্রতবাবুর ছেলে কল্যাণ তমলুক থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। সুব্রতবাবুর বাড়ির দোতলায় চিলে কোঠায় দেওয়াল প্লাস্টারের কাজ চলছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজ করছিলেন রাজমিস্ত্রি ও তাঁদের সাহায্যকারী মিলিয়ে চার জন শ্রমিক। সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ গুড়িগুড়ি বৃষ্টির সাথে বাজ পড়ছিল। প্রচণ্ড শব্দে একটি বাজ পড়লে চিলে কোঠার সংলগ্ন বাড়ির ছাদে কাজ করা চারজন শ্রমিকের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হন। একই সময়ে ওই বাড়ির নিচে স্নান করার সময় জখম হন কল্যাণ। পরে পরিবারের লোকজন ওই তিনজন শ্রমিক জখম হওয়ার কথা জানতে পারেন। স্থানীয় বাসিন্দারা সকলকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক পরীক্ষা করে বিশ্বজিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার হাসপাতালে দেখা যায় মৃত শ্রমিক বিশ্বজিৎ প্রামাণিকের পরনে জিন্সের প্যান্টের ভিতরে থাকা মোবাইল ফোন ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে। আর ওই মোবাইল ফোন যেখানে রাখা ছিল প্যান্টের সেই অংশ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও কানের ভিতর থেকে রক্ত ঝরছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের সুপার গোপাল দাস অবশ্য বলেন, ‘‘বজ্রপাতের জেরে প্রচণ্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ শক্তির প্রবাহ হয়। তার জেরে ওই যুবকের পোশাকের ভিতরে থাকা মোবাইল ফোন ফেটে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’’