আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অপরাধীদের।
আট বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার ব্রাক্ষ্মণবাড়ে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জনকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক। পাশাপাশি, ১০ হাজার টাকা জরিমানা নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আট বছর ধরে বিচার প্রক্রিয়া চলার পর সোমবার ওই মামলার সাজা ঘোষণা হয়েছে। ২০১৫ সালের মে মাসে ওই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল মোট ১৩ জনের।
মেদিনীপুর জেলা আদালতের বিচারক সেলিম শাহি সাজা ঘোষণা করেছেন সোমবার। ওই ঘটনার তদন্ত করেছিল সিআইডি। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী দেবাশিস মাইতি বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় ১০ জন শিশু-সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বিচারক ১১টি ধারায় বিভিন্ন সাজা এবং আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। সেইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মৃত শিশু শ্রমিকদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’’ ওই কাণ্ডে দোষী রঞ্জন মাইতি, নিমাই মাইতি এবং শেখ সুরজকে ওই সাজা দেওয়া হয়েছে।
দোষী পক্ষের আইনজীবী প্রসূন দাস অধিকারী বলেন, ‘‘আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’’ ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রাহ্মণবাড় গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গোড়ায় তদন্ত করেছিল পুলিশ। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তদন্তের ভার নেয় সিআইডি।