Beaten by Mob

পটাশপুরে বধূকে বিবস্ত্র করে মারধর: অবশেষে তিন জন গ্রেফতার, ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও

পটাশপুরে এক বধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। তাঁদের বুধবার কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

পটাশপুর শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৭
Share:

পটাশপুরে মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণধোলাইয়ের অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।

পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে এক বধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। তাঁদের বুধবার কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছে। এই ঘটনায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ১১ জন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এখনও অধরা দুই মূল অভিযুক্ত।

Advertisement

পটাশপুর থানার চক ভবানীপুর গ্রামে কিছু দিন আগে এক বৃদ্ধার সোনার গয়না চুরি যায় বলে অভিযোগ। সেই সন্দেহে প্রতিবেশী বধূকে মারধর করা হয়। অভিযোগ, গয়না চুরির ঘটনায় সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে ওই বধূকে দোষী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তার পরেই গ্রামবাসীরা তাঁকে মারধর শুরু করেন। অভিযোগ, বধূকে বিবস্ত্র করে ধানের বস্তায় ভরে মারা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। মহিলাকে উদ্ধার করার পরেও পুলিশ কেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার দু’দিন পর বধূর পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ, এই দু’দিনে মূল অভিযুক্তেরা পালিয়ে গিয়েছেন। মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে নীলিমা বেরা, মদন জানা এবং পূর্ণচন্দ্র জানাকে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের স্থানীয় নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু মহাপাত্র এবং সিভিক ভলান্টিয়ার সুদর্শন জানা। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) শুভেন্দ্র কুমার বলেন, “মহিলার হার ছিনতাইয়ের ঘটনা এবং গণধোলাইয়ের ঘটনায় দু’টি পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement