জগদ্ধাত্রী আরাধনায় প্রমীলারা

 নিজেরা হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন। আর পাত পেড়ে খাওয়ার জোগাড় করতে স্থানীয় দোকান মালিকদের থেকে সাহায্য এনেছেন। এ ভাবেই মেদিনীপুরের ছোটবাজার পঞ্চমুখী কালীমন্দির লেনের মহিলারা জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করছেন।

Advertisement

সৌমেশ্বর মণ্ডল

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৫০
Share:

মণ্ডপে মহিলারা। নিজস্ব চিত্র

নিজেরা হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন। আর পাত পেড়ে খাওয়ার জোগাড় করতে স্থানীয় দোকান মালিকদের থেকে সাহায্য এনেছেন। এ ভাবেই মেদিনীপুরের ছোটবাজার পঞ্চমুখী কালীমন্দির লেনের মহিলারা জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করছেন।

Advertisement

ছোটবাজারের বাসিন্দা টিঙ্কু দাস ২০১১ সালে নিজেই জগদ্ধাত্রী প্রতিমা গড়ে প্রতিবেশী মধু দাসকে নিয়ে পুজো শুরু করেছিলেন। পাড়ায় জগদ্ধাত্রী পুজোর সেই শুরু। ২০১৬ সালে টিঙ্কুবাবুর বাবা মারা যান। সে বার আর তিনি পুজোয় থাকতে পারেননি। পুজো যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, সে জন্যই পাড়ার মহিলারা একজোট হন। শুরু হয় জননীদের উদ্যোগে জগজ্জননীর আরাধনা। স্থানীয় বাসিন্দা কুহেলি বেরা বলেন, ‘‘পাড়ার মেয়েরাই এই পুজো করি। একমাস আগে মিটিং করে সব পরিকল্পনা সেরে নেওয়া হয়।’’ বন্দনা দাস জানালেন, এ বার পুজোর বাজেট ২৫ হাজার টাকা। তার মধ্যে মহিলাদের চাঁদা থেকে উঠেছে ১৫ হাজার টাকা। উদ্যোক্তা কাকলি দাসের কথায়, ‘‘এবছর টিঙ্কু দাস প্রতিমা বানান নি। তাই বাইরে থেকে প্রতিমা কিনতে হয়েছে। বাজেট বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে।’’

শুক্রবার থেকেই ব্যস্ত প্রমীলারা। ঠাকুর আনা, বাজার করা সবই করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় পুজোর উদ্বোধন করেন পুরপ্রধান প্রণব বসু। রবিবার সকাল থেকেই সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো হয়েছে রীতি মেনে। পুজো উপলক্ষে নানা আয়োজনও রয়েছে। এ দিন বিকেলে ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয়। সন্ধেয় ছিল মোমবাতি জ্বালানো, শাঁখ বাজানোর প্রতিযোগিতা ও মিউজিক্যাল চেয়ার। আজ সোমবার সন্ধেয় পাড়ার ছোটরা নাচ, গান, আবৃত্তি করবে। আগামী বুধবার হবে বিসর্জন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement