জেনারেটর নেই সদ্যোজাতদের জন্য

শিশু ও প্রসূতি ওয়ার্ডে ঢুকে সুদীপবাবু দেখেন, ডাক্তার ও নার্সদের মাথার উপর পাখা চললেও প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের মাথার উপরে পাখা বন্ধ। হাতপাখা, ভাঁজ করা কাগজ আর শাড়ির আঁচল দিয়ে তাদের হাওয়া করা হচ্ছে।

Advertisement

সৌমেশ্বর মণ্ডল

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৭ ০৭:০০
Share:

লোডশেডিংয়ে: হাতপাখাই ভরসা। খড়্গপুর হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

নবজাতকদের মায়েদের হাতে ‘সবুজশ্রী’ প্রকল্পের চারা তুলে দিতে শুক্রবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়েছিলেন মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার। সঙ্গে পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার এবং জেলা কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ। শিশু ও প্রসূতি ওয়ার্ডে ঢুকে সুদীপবাবু দেখেন, ডাক্তার ও নার্সদের মাথার উপর পাখা চললেও প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের মাথার উপরে পাখা বন্ধ। হাতপাখা, ভাঁজ করা কাগজ আর শাড়ির আঁচল দিয়ে তাদের হাওয়া করা হচ্ছে। হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কাছে এর কারণ জানতে চান মহকুমাশাসক। সুপার জানান, জেনারেটরের ক্ষমতা কম। লোডশেডিং হলে ট্রমা ইউনিট চালু রাখতেই জেনারেটরের বেশির ভাগ শক্তি চলে যায়। ফলে বাকি ওয়ার্ডে জেনারেটরের লাইন দেওয়া যায়নি। সুদীপবাবু নির্দেশ দেন, লোডশেডিংয়ের সময় এই ওয়ার্ডে পাখা চালানোর জন্য ব্যবস্থা করতে হবে জেনারেটরের। রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিংয়ে বিষয়টি আলোচনার কথাও জানান তিনি। ওয়ার্ডের এক রোগীর কথায়, “লোডশেডিংয়ের সময়ে শিশুরা গরমে কষ্ট পাচ্ছে। সন্ধেবেলা এখানে লোডশেডিংয়ে অন্ধকার হয়ে গেলেও দিদিমনিদের বসার জায়গায় আলো জ্বলে।” সমস্যা মেনে নিয়ে কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “জেনারেটারের ক্ষমতা কম। সমস্যার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement