সিপিএমের ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে ঠাঁই হল নেতাই গণহত্যা কাণ্ডের দুই জেলবন্দি অভিযুক্ত অনুজ পাণ্ডে ও ফুল্লরা মণ্ডলের। নেতাই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুজবাবু ও ফুল্লরাদেবী আগে সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা আহ্বায়কের দায়িত্বও নিলেন ডহরেশ্বর সেন।
মঙ্গলবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর দুই সদস্য দীপক সরকার ও মদন ঘোষের উপস্থিতিতে দলের ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলা কমিটির প্রথম বৈঠক হল। নতুন জেলা কমিটির ৩৩ জন সদস্যের মধ্যে ৩১ জন হাজির ছিলেন। অনুজবাবু ও ফুল্লরাদেবী জেলে থাকায় তাঁরা বৈঠকে হাজির হতে পারেননি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, পঞ্চায়েতের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, মানুষের বঞ্চনা, শাসক দলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিচু তলা থেকে জনমত গঠন করা হবে।
কিন্তু নেতাই কাণ্ডের দুই অভিযুক্তকে জেলা কমিটিকে রেখে সেই উদ্দেশ্য কতটা সফল হবে? সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ডহরেশ্ববাবু অবশ্য সাফ জানিয়ে দেন, “অভিযুক্ত মানেই দোষী নয়। অনুজ ও ফুল্লরার বিরুদ্ধে এখনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকার সিবিআইকে দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করেছিল।” তাঁর আরও অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম জেলায় দল ও শাখা সংগঠনের বেশ কিছ কার্যালয়ে শাসক দলের লোকেরা তালাচাবি দিয়ে রেখেছে। কয়েকটি কার্যালয়ের চাবি রয়েছে পুলিশের কাছে। ডহরেশ্বরবাবু জানান, জঙ্গলমহলের এই জেলায় শাসক তৃণমূলকে উৎখাত করতে কোনও অবস্থাতেই তাঁরা মাওবাদীদের হাত ধরবেন না।