ভোটাভুটির জন্য তলবি সভায় কোরাম না হওয়ায় বাতিল হয়ে গেল অনাস্থা প্রস্তাব। সুতাহাটার সিপিএম পরিচালিত চৈতন্যপুরের গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রধান শিবাস মাইতির বিরুদ্ধে স্বজনপো়ষণের অভিযোগে অনাস্থা আনে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার শিবাসবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবের তলবি সভা ছিল। যদিও ২৩ আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েতের শুধুমাত্র ৩ জন তৃণমূল সদস্য এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন। বামেদের পক্ষেও কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ফলে তলবি সভা মুলতুবি হয়ে যায়।
সুতাহাটার বিডিও সঞ্জয় শিকদার জানান, গত ২ ডিসেম্বর চৈতন্যপুরের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। শুক্রবার তলবি সভায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে তিন জন ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী, তলবি সভায় পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যার অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে উপস্থিত থাকতে হয়। তা না হওয়ায় এ দিনের সভা মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। বিডিও সঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শিবাস মাইতি বোর্ড চালাবেন। আগামী আড়াই বছর প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূল অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারবে না।’’
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৩ আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েতে ১৬টি আসন দখল করে সিপিএম। তৃণমূল ৭টি আসন পায়। সম্প্রতি তিনজন সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত প্রধান শিবাসবাবুও যোগ দেন শাসকদলে। ফলে বর্তমানে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ১১ জন। সিপিএমের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। এ দিনের তলবি সভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেল বামেরা।
চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নেতা অশোক মিশ্র বলছেন, “এই গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে, তা কিছুদিনের মধ্যেই প্রমাণ করে দেব। কারণ পঞ্চায়েত প্রধান তো আমাদের দলেই যোগ দিয়েছেন।’’
শুক্রবার তলবি সভায় যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের অনেকেই তৃণমূলে যোগ দেবেন বলেও দাবি করছেন অশোকবাবু। এ বিষয়ে সিপিএমের হলদিয়া দক্ষিণ জোনাল কমিটির সম্পাদক শ্যামল মাইতি বলেন, ‘‘দশজনের স্বাক্ষর দিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূল। কিন্তু তলবি সভায় ওরা তিনজনের বেশি সদস্যকে উপস্থিত করতে না পারায় অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছে। ওরাই যে বিপাকে পড়ল, সেই ছবিটা মানুষ দেখতে পেল।’’